শনিবার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
এর আগে দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সম্পাদক পরিষদের সদস্য শ্যামল দত্ত বলেন, তিনজন মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর গণমাধ্যম বিষয়ক উপদেষ্টা প্রকাশ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, আমাদের উদ্বেগের বিষয়গুলো মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করা হবে এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রহণযোগ্য পরিবর্তন-পরিমার্জনের লক্ষ্যে অংশীজনের সঙ্গে সংলাপ শুরু করা হবে।
‘কিন্তু আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে দেখলাম, এসবের কিছুই করা হলো না। সম্পাদক পরিষদকে তিনজন মন্ত্রী যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, আমরা মনে করি এটি সেই প্রতিশ্রুতির বরখেলাপ। ’
এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আইনটা যেহেতু পাস হয়ে গেছে সংসদে, এটা নিয়ে কথা বলার আগে আমাকে ওনাদের কথাগুলো মন্ত্রিপরিষদে উত্থাপন করতে হবে। সে কথা আমি এখনো মন্ত্রিপরিষদে উত্থাপন করিনি। আমার কথা রাখার সময় কিন্তু এখনো শেষ হয়নি। আমি ওনাদের এতটুকু বলতে পারবো আমি বরখেলাফ করিনি। এখনো সময় শেষ হয়নি।
সাংবাদিক মহল ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের আলোচনার মধ্যেই গত ১৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা বিল-২০১৮’ পাস হয়। এ আইনের বহুল আলোচিত ৩২ ধারাসহ কয়েকটি ধারা নিয়ে সাংবাদিক সমাজ আপত্তি জানিয়ে এসেছে।
এসব ধারা রেখে আইনটি বাস্তবায়ন হলে ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য হুমকি’ হয়ে উঠবে বলে আপত্তি জানিয়ে সম্পাদক পরিষদ মানববন্ধনের ঘোষণাও দিয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাদের সঙ্গে বৈঠকেও বসেন আইন, তথ্য এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী। সেখানে গণমাধ্যমের আপত্তিতে থাকা ধারাগুলো আলাপ–আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়।
এর মধ্যে ৮ অক্টোবর আইনে সই করেন রাষ্ট্রপতি।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৮
ইএস/এএ