ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

অভিবাসীরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করতে বাধ্য হন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৮
অভিবাসীরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করতে বাধ্য হন বাংলাদেশ সোসাইটি ফর এনফোর্সমেন্ট অব হিউম্যান রাইটসের আলোচনা সভা

ঢাকা: অভিবাসীরা উচ্চ অভিবাসন ব্যয়ে বিদেশে যান ও গড়ে এই এককালীন অভিবাসন ব্যয় অভিবাসী শ্রমিকের মোট বাৎসরিক বেতনের চেয়েও বেশি। অভিবাসীরা শোভনীয় কাজ পেতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন, কিন্তু অনেক অভিবাসী নিম্ন আয়ের অনিরাপদ কাজে নিযুক্ত হয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করতে বাধ্য হন।

সোমবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটি ফর এনফোর্সমেন্ট অব হিউম্যান রাইটসের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ তারিখ হাইদার।  
এসময় আরো আলোচনা করেন বাংলাদেশ অভিবাসী অধিকার ফোরামের চেয়ারম্যান মো. নাজমুল আহসান, ন্যাশনাল ডমেস্টিক ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের জেনারেল সেক্রেটারি মুর্শিদা আক্তার, ওআরবি সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ ও এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ওমর ফারুক।

বক্তারা বলেন, বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত বাংলাদেশের অভিবাসী শ্রমিকরা তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এবছর দেশের বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোতে বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকদের মানবাধিকার লংঘনের চিত্র বিভিন্নভাবে তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনগুলো যদিও একটি খণ্ডচিত্র, কিন্তু সেগুলো একত্র করলে শ্রমিকদের মানবাধিকার লংঘনের পুরো চিত্রটা ফুটে ওঠে।

নারী অভিবাসীদের প্রসঙ্গে আলোচকরা বলেন, নারী অভিবাসী শ্রমিক প্রবাসে তাদের নিয়োগকর্তাদের দ্বারা নির্যাতন ও মানবাধিকার লংঘনের শিকার হয়। একজন নারী অভিবাসী শ্রমিকের পক্ষে সাপ্তাহিক ছুটি ছাড়া দৈনিক ১৭ থেকে ১৮ ঘণ্টা নিম্ন বেতনের কাজ করা সম্ভব নয়।  

অভিবাসী শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মানবাধিকার সংরক্ষণে সরকারকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে জানিয়ে আলোচনায় বেশ কিছু বিষয়েরর উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। এরমধ্যে অভিবাসন আইন ও নীতিমালার সঠিক বাস্তবায়ন; শ্রম অভিবাসন প্রক্রিয়ায় দ্বিপক্ষীয় দরকষাকষিসহ প্রয়োজনে বহুপক্ষীয় চুক্তি করা; ভিসা ট্রেডিং বন্ধ করা; অভিবাসন ব্যয় কমানো ও নির্ধারণ করা প্রভৃতি অন্যতম।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৮
এইচএমএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।