ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

নির্বাচন ঘিরে মুদ্রণ ব্যবসায়ীদের পালে হাওয়া

সোলায়মান হাজারী ডালিম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৮
নির্বাচন ঘিরে মুদ্রণ ব্যবসায়ীদের পালে হাওয়া ছাপাখানাগুলোতে বেড়েছে ব্যস্ততা, ছবি: বাংলানিউজ

ফেনী: আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এরই মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

প্রতীক বরাদ্দের সঙ্গে সঙ্গে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত হয়ে পরেছেন প্রার্থীরা। আর প্রচার-প্রচারণার অন্যতম অনুষঙ্গ পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন হওয়া প্রার্থীদের সঙ্গে সঙ্গে পালে হাওয়া লেগেছে মুদ্রণ ব্যবসায়ীদেরও।

সোমবার (১০ ডিসেম্বর) সরেজমিনে ফেনীর মুদ্রণশিল্প এলাকায় দেখা যায়, নির্বাচন ঘিরে ছাপাখানাগুলোতে বেড়েছে ব্যস্ততা। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় ব্যবহৃত পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকরা।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিগত ৫ বছরে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল অংশ না নেওয়া তারা তেমন একটা ব্যবসা করতে পারেননি। কিন্তু আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেহেতু সব রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে। আশা করা যায়, প্রচার-প্রচারণাও বেশি হবে। ছাপাখানাগুলোতে আগের চেয়ে ব্যস্ততা বেড়েছে। তাই কাঙ্খিত ব্যবসার আশাও প্রকাশ করছেন ব্যবসায়ীরা।

ফেনী জেলা মুদ্রণশিল্প মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরিফুল আমীন রিজভী বলেন, ফেনীতে রয়েছে ৪২ টি ছাপাখানা, সরাসরি মুদ্রণের সঙ্গে জড়িত রয়েছে আরও ৩ শতাধিক প্রতিষ্ঠান, রয়েছে ৪ শতাধিক গ্রাফিক্স ডিজাইনার ও হাজার খানেক শ্রমিক। এ বৃহৎ জনগোষ্ঠী মুখিয়ে আছে এ মৌসুমের জন্য। নির্বাচন যতো বেশি অংশগ্রহণমূলক হবে, ব্যবসায়ীরা তত বেশী ব্যবসার আশা করেন।

আরিফ রিজভী আরও জানান, আশা করা হচ্ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রায় এক কোটি টাকার পোস্টার ও ৫০ লাখ টাকার পিবিসি ব্যানার-পেস্টুন ছাপা হতে পারে।

ফেনীর মুদ্রণ ব্যবসায়ীরা জানান, ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই নির্বাচন কেন্দ্রীক ব্যবসায় ধস নামে। জেলার ৪৫ ইউনিয়ন ছাড়াও আশপাশের এলাকা কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম, লাকসাম, লাঙ্গলকোট, খাগড়াছড়ির রামগড়, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ, সেনবাগ ও চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলাসহ প্রায় ১০০টি ইউনিয়নের ছাপার কাজ করেন ফেনীর মুদ্রণ ব্যবসায়ীরা।

আনন্দ অফসেট প্রেসের সত্ত্বাধিকারী ফয়েজ উল্লাহ চৌধুরী বলেন, একটি ইউনিয়নে যদি তিনজন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ২০ জন মেম্বার প্রার্থী ও ৭জন সংরক্ষিত আসনের মহিলা প্রার্থীও থাকে। তাহলে ১০০ ইউপি নির্বাচনে নূন্যতম ১০ কোটি টাকা ব্যবসা হওয়ার কথা। কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত বিগত ৫ বছরে এসব অঞ্চলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হওয়ায় ব্যবসা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এবার জাতীয় নির্বাচনে সবদল অংশ নেওয়া আশানুরুপ ব্যবসা হবে বলে মনে হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৮
এসএইচডি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।