ঢাকা, রবিবার, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ মে ২০২৪, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

প্রস্তুত ফায়ার সার্ভিসের ১০ হাজার সদস্য

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৮
প্রস্তুত ফায়ার সার্ভিসের ১০ হাজার সদস্য ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা/ফাইল ফটো

ঢাকা: আর মাত্র দু’দিন পরেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। নির্বাচনী পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে তৎপর রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিটি ইউনিট। শত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার পাশাপাশি যে কোনো ঘটনা ঘটলে তা মোকাবিলার প্রস্তুতিও সম্পন্ন করে রেখেছে তারা।

কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হলে নিজেদের করণীয় ঠিক করে রেখেছে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর। বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে নির্ধারিত এলাকায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে রেসকিউ টিম।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, নির্বাচনের দিন দেশজুড়ে ১০ হাজার সদস্য দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত থাকবে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত থাকতে না পারলেও অধিক ঝুঁকিপূর্ণ, ঝুঁকিপূর্ণ ও সাধারণ কেন্দ্র অনুযায়ী ফায়ার সার্ভিসের টিম দায়িত্ব পালন করবে।

এছাড়া সড়কে কোনো নাশকতা হলে সে বিষয়েও কর্মপরিকল্পনায় রেখেছে বাহিনীটি। এক্ষেত্রে অন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয় করে দায়িত্ব পালন করবে ফায়ার সার্ভিস।

গত ২৩ ডিসেম্বর ঢাকা সহকারী পরিচালকের কার্যালয়ভিত্তিক একটি মনিটরিং ও সমন্বয়ক সেল গঠন করা হয়েছে। যার আওতাধীন জেলাগুলোকে বিভিন্ন জোনে ভাগ করে প্রত্যেক সদস্যের করণীয় এবং অবস্থান সম্পর্কে ঠিক করে দেওয়া হয়েছে।

ওইদিন এক দাফতরিক বিজ্ঞপ্তিতে বাহিনীটি জানায়, আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে সুষ্ঠু ও নিরাপদ ভোটগ্রহণের জন্য সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া ও অগ্নি নিরাপত্তাসহ যে কোনো জরুরি মুহূর্তে করণীয় বিষয়ে দায়িত্ব বণ্টন করা হলো।

ভোটের দিন সকাল ৭টায় দায়িত্ব শুরু করে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালনের কথাও বলা হয়েছে। ডিউটি পোস্ট নির্ধারণের ক্ষেত্রে ভোটকেন্দ্রের দূরত্ব বিবেচনায় রাখার পাশাপাশি যে কোনো আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী বা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় ঘটনাস্থলে গমনের কথা জানানো হয়েছে।

সদস্যদের সব ধরনের ছুটি বাতিল ও বদলির আদেশ থাকলে নির্বাচনের পরে কার্যকর করার কথাও ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা বলেন, গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী কিছু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা মোতায়েন থাকবে। জেলা প্রশাসন, বিভাগীয় কমিশনারসহ দায়িত্বরত বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে নিজেদের করণীয় ঠিক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ- পরিচালক (ঢাকা) দেবাশীষ বর্ধন বাংলানিউজকে বলেন, দেশজুড়ে সব কেন্দ্র হয়তো আমরা কাভার করতে পারবো না, তবে ঝুঁকি বিবেচনায় কেন্দ্রগুলোতে আমাদের ইউনিট থাকবে। ১ হাজার মোটরসাইকেলের মাধ্যমে টহল চলবে। এছাড়া, ওয়াটার টেন্ডার, ফোর হুইলার, ই টেন্ডারসহ সব শক্তি মাঠে থাকবে।

ওইদিন ১০ হাজার সদস্যের সবাই নিয়োজিত থাকবেন জানিয়ে তিনি বলেন, সদরঘাট, কামরাঙ্গীরচর, পাটুরিয়া, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় নৌপথে ভোটারদের যাতায়াতের জন্য আমাদের স্পিড বোট, ওয়াটার বাইক প্রস্তুত থাকবে।

সড়কপথে যদি সহিংসতার ঘটনা ঘটে তাহলে সেনাবাহিনীর স্ট্রাইকিং ফোর্স ও অন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে দায়িত্ব পালন করা হবে বলেও জানান দেবাশীষ বর্ধন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৮
পিএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।