ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মহিউদ্দিন সোহেলের হত্যাকারীর শাস্তির দাবিতে স্মারকলিপি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৯
মহিউদ্দিন সোহেলের হত্যাকারীর শাস্তির দাবিতে স্মারকলিপি পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বরাবার স্বারকলিপি দেন-ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মহিউদ্দিন সোহেলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা। মাদক ব্যবসায় বাধা দেয়াই মহিউদ্দিন সোহেলের জীবনে কাল হয়ে আসে বলে অভিযোগ করেন তারা। মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকায় ছাত্রলীগের সাবেকই এই নেতাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তার সহকর্মীরা।

এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে মানববন্ধন ও স্বারকলিপি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা। বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শতাধিক সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা এ মানববন্ধন করে।

নিহত মহিউদ্দিন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের মাহমুদ হাসান রিপন-মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন নেতৃত্বাধীন কমিটির উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক ছিলেন। এরআগে মহিউদ্দিন চট্রগ্রাম কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শতাধিক সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা এ মানববন্ধন করেমানববন্ধনে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ বাবলু বলেন, ছাত্রলীগ বিভিন্ন সংগ্রাম ও ত্যাগ-তিতিক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশ দেশ আজকের এই অবস্থানে উন্নীত হয়েছে। ছাত্রলীগের হাজার হাজার নেতা কর্মীর রক্ত, শ্রম, ঘাম ও রাজপথের সাহসী প্রতিবাদ জড়িত রয়েছে। তাদেরই একজন ছিলেন ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক এবং চট্টগ্রাম সরকারী কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন সোহেল। বর্তমানে আমাদের দল ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় গত ৭ জানুয়ারী আমাদের রাজনৈতিক সহকর্মী মহিউদ্দিন সোহেলকে চট্টগ্রামের পাহারতলীতে তার ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক অফিসের সামনে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আর এই নৃশংস হত্যার নায়ক সাবের সওদাগর ও তার সহযোগীরা। আমরা তাদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

মানববন্ধন শেষে মহিউদ্দিন সোহেল-এর নৃশংস হত্যাকারী সাবের সওদাগর ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ইকবাল মাহমুদ বাবলু, শাহিনুর রহমান, সুজাদুর রহমান, সোহেল রানা মিঠু ও ডা. হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, আইন মন্ত্রী আনিসুল হক ও পুলিশ প্রধান বরাবার স্বারকলিপি দেন।

মহিউদ্দিন সোহেল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির প্রাক্তন সহ-সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের প্রাক্তন উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক ছিলেন। তার বাবা ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তা। পাহাড়তলী সরকারী রেলওয়ে কলোনিতে তার জন্ম।

পাহাড়তলী বাজার ও আশপাশের এলাকাকে সিসি ক্যামেরার আওতাধীন করার উদ্যোগ, মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত এলাকা করার ঘোষণা এবং এর কার্যক্রম শুরু, রাতের বেলায় পাম্প হাউস কলোনির রাস্তাসমূহ আলোকিত করাসহ স্থানীয় এলাকাবাসী ও বিশেষ করে বস্তিবাসীর জন্য ফ্রি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ফ্রি হেলথ ক্যাম্প, গ্রন্থাগার ও মিলনাতয়ন করার উদ্যোগ নেয়াই তার জন্য কাল হয়ে।

ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ বাবলুর সভাপতিত্বে ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর রহমান টুটুল, সাবেক সহ সভাপতি সুজাদুর রহমান, রফিকুল আলম গাফ্ফারী রাসেল,আমিনুল এহসান বাবু, মেহেরুল হাসান সোহেল, সৈয়দ আলাওল ইসলাম সৈকত, সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, জাফরুল শাহরিয়ার পলাশ,সোহান খান, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, রিপন পোদ্দার, আ হ ম তারেক উদ্দিন, সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সোহেল রানা মিঠু, স্বাস্থ সম্পাদক ডা. হেলাল উদ্দিন, সাবেক প্রচার সম্পাদক আরিফুল ইসলাম উজ্বল, উপ গণশিক্ষা সম্পাদক মফিজুল ইসলাম ঢালী, সহ সম্পাদক কামরুল হাসান মুরাদ, সদস্য মেহেদী হাসান, নুরুর রহমান মুকুল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি মোক্তাদিরুল ইসলাম মিল্টন, মেহেদী হাসান, গোলাম কিবরিয়া রাসেল মানবন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ০১১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৯
এসকে/এসএম/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।