বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অক্সফাম আয়োজিত বাংলাদেশে অর্থনৈতিক বৈষম্য সম্পর্কিত এক জাতীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পরিকলল্পনামন্ত্রী।
বৈষম্য কেবল মাত্র বাংলাদেশের সমস্যা নয়, এটি এখন বিশ্বজনীন সমস্যা উল্লেখ করে এম এ মান্নান বলেন, সরকার এ সমস্যা দূর করার চেষ্টা করছে।
সংলাপে উপস্থিত সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মীর্জা আজিজুল ইসলাম দেশে অর্থনৈতিক বৈষম্য প্রসঙ্গে বলেন, প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির সঙ্গে বৈষম্য বৃদ্ধির একটি সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশে প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আয়ের বৈষম্যও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঋণখেলাপীদের বিচারের আওতায় আনা সম্ভব হলে দেশে আয়ের এ বৈষম্য কমানো সম্ভব হবে।
এ প্রসঙ্গে আরেক অতিথি বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর সালেহ্উদ্দিন আহমেদ বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনের বিষয়টি অনেকাংশেই রাজনৈতিক বিষয়। রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তি চাইলে এ বৈষম্য মেটানো সহজ। দারিদ্র্য বিমোচন না হলে ‘সাসটেনেবেল ডেভলপমেন্ট’ (টেকসই উন্নয়ন) হবে না। বাংলাদেশ এখন উন্নতির দিকে যাচ্ছে। খেয়াল রাখতে হবে, এ ধারা যেন নিচের দিকে না নামে।
অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ বলেন, দেশে কর আয়ের ৭০ শতাংশ আসে পরোক্ষ আয় থেকে। কিন্তু ৫০ শতাংশেরও বেশি কর আয় প্রত্যক্ষ আয় থেকে আসা উচিৎ। ঘুষ, দুর্নীতি, কাজ না করে আয়, কৃষকদের মধ্যস্বত্বভোগীদের হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব হলে বাংলাদেশে জিডিপির হার ১০ শতাংশ হতে পারতো।
অনুষ্ঠানে আরও কথা বলেন- গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন সাদেকা হালিমা, এনবিআররের সাবেক চেয়ারম্যান মুহম্মদ আব্দুল মজিদ প্রমুখ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৯
ডিএন/এইচজে