বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ডিএনসিসির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার (১৬ অক্টোবর) ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।
আমিনুল ইসলাম নিজেকে ডিএনসিসির জরিপ কর্মকর্তা পরিচয়ে ট্রেড লাইসেন্স করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অনেকের অভিযোগ রয়েছে।
জনৈক অসীম কর্মকার ডিএনসিসি অফিসে জানান, মো. আমিনুল ইসলাম (আমিন) জরিপ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে তার কাছ থেকে ট্রেড লাইসেন্স করিয়ে দেওয়ার কথা বলে ৬ হাজার টাকা নেন। কিন্তু অনেকদিন অতিবাহিত হলেও তাকে কোনো ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হয়নি, এমনকি তিনি ফোনও রিসিভ করেন না। ডিএনসিসির সম্পত্তি বিভাগে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয়, ওই নামে সেখানে কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী নেই। আবারও ওই ব্যক্তি ভুয়া পরিচয় দিয়ে যোগাযোগ করলে ডিএনসিসিকে অবহিত করার অনুরোধ জানানো হয়।
অবশেষে গতকাল বুধবার সকাল ১০টার দিকে অসীম কর্মকার ডিএনসিসিকে জানান, আমিনুল ইসলাম (আমিন) পূর্ব বাড্ডার ইউসেফ স্কুলের পাশের একটি ফার্মেসিতে বসে আছেন। এরপর ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা তৎক্ষণাৎ বাড্ডা থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ব্যক্তিকে আটক করে। এ সময় তার কাছ থেকে ‘মো. আমিনুল ইসলাম (আমিন), জরিপ কর্মকর্তা, সম্পত্তি বিভাগ, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন’ পরিচয়ের একটি কার্ডও জব্দ করে পুলিশ। এ ঘটনায় বাড্ডা থানায় একটি মামলা দায়ের করে ওই ব্যক্তিকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৯
এসএইচএস/এইচজে