রোববার (২০ অক্টোবর) সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে ৫ দিনব্যাপী এই কোর্সের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন শেষে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, দুর্নীতি সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমন করা গেলে দেশের উন্নয়ন তরান্বিত হবে।
তিনি বলেন, প্রযুক্তিগত বিষয় নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সাধারণ অপরাধগুলোর মধ্যেও প্রযুক্তিগত বিষয় নিয়ে কাজ করতে হয়। প্রযুক্তি সব সময় পরিবর্তন হয়। তাই যারা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন তারা সেগুলোর সঙ্গে আপডেট থাকবেন। লোভে পড়লে শুধুমাত্র অর্থ উপার্জন সম্ভব আর লোভে না পড়লে দেশের সব অর্জন সম্ভব।
এ সময় ডিএমপি কমিশনার তদন্তের স্বার্থে কাউন্টার টেররিজমের দক্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দুদক কর্মকর্তাদের সুসম্পর্ক স্থাপন করে ভবিষ্যতে দেশের কল্যাণে কাজ করার অনুরোধ জানান।
অনুষ্ঠানে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, তদন্তকাজ ঠিক মতো যদি না হয় তাহলে অপরাধীরা সব সময় ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। তাই যারা এ নিয়ে কাজ করবেন তাদের সবসময় আপডেট থাকতে হবে। সমালোচনা সব সময় সাদরে গ্রহণ করতে হবে। যদি সমালোচনা থাকে তাহলে জবাবদিহিতাও বাড়ে।
তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনে দুর্নীতি নেই সেটা বলতে পারবো না। দুর্নীতি যেমন আছে সেখানে জবাবদিহিতাও রয়েছে। তাই কমিটমেন্ট অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। দুর্নীতির আগে যদি সেটা ধরতে পারি সেটাই হবে আসল উদ্দেশ্য। দুর্নীতি যদি ঘটেই যায় তাহলে আমাদের থাকার উদ্দেশ্য কি? তাই আগে থেকে দুর্নীতি ধরতে আমাদের সোচ্চার হতে হবে।
সিটিটিসি প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, সিটিটিসির কর্মকর্তারা শুধু দেশি-বিদেশি নয়, ইন-হাউজ ট্রেনিংও করছেন। কাউন্টার টেররিজম কোনো ট্রেনিং ইনস্টিটিউট না হলেও আমাদের অফিসাররা প্রতি মাসেই কোনো না কোনো ওয়ার্কশপ সেমিনার শর্ট ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে তরুণ অফিসার ও কর্মরতদের দক্ষতা বৃদ্ধির চেষ্টা করেন।
‘আমরা সবাই বাংলাদেশ পুলিশের সদস্য। চাকরি জীবনের প্রথম থেকেই আমরা তদন্ত করে এসেছি। আশা করছি এই প্রশিক্ষণটিও ফলপ্রসূ হবে,’ যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৯
পিএম/এমএ