রোববার (২০ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের শ্রীমুখ গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়।
এরা হলেন- শ্রীমুখ গ্রামের নুরুল আমিন চেংটুর ছেলে রাসেল (২৭), আব্দুর রশিদের ছেলে মোনারুল (২৮) ও মোজাহার আলীর ছেলে আনু মিয়া (৩৫)।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার কোচাশহর ইউনিয়নের কোচাশহর বাজারে শাহীন মিয়ার নেতৃত্বে জেলে সম্ভু হাওলাদারের ওপর হামলা চালায় একদল সন্ত্রাসী।
নির্যাতনের শিকার শ্রী সম্ভু হাওলাদার উপজেলার মহিমাগঞ্জ মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি ও মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের জিরাই গ্রামের মৃত চৈতা হাওলাদারের ছেলে।
অভিযুক্ত নির্যাতনকারী শাহিন মিয়া (৪৫) একই উপজেলার শাখাহার ইউনিয়নের দইহারা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশ ও সম্ভুর পরিবার জানায়, শনিবার দুপুরে শাহিন মিয়া ও তার কয়েকজন সহযোগী সম্ভু হাওলাদারকে নিজ বাড়ি থেকে পার্শ্ববর্তী কোচাশহর বাজারে নিয়ে যায়। পরে সেখানে তাকে বেদম মারধর করা হয়। এসময় তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সম্ভু হাওলাদারের অভিযোগ, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার একাধিক সরকারি জলাশয় ইজারা দেওয়া নিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের তালাশ অনুষ্ঠানে সম্প্রতি প্রচারিত হয়। সেখানে সম্ভু হাওলাদার একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। তিনি ওই সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘জাল যার জলাভুমি তার, এ স্লোগান এখন পরিবর্তন হয়েছে। এখন ক্ষমতা যার জলা তার। ’
তিনি কেন এ ধরণের সাক্ষাৎকার দিলেন- এ কারণে তাকে হত্যার উদ্দেশে ওই সন্ত্রাসীরা মারধর করে।
বিকেলে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মেহেদী হাসান তিন জনের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৯
আরএ