গত শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে রূপনগরের একটি ওষুধ কোম্পানির পাশের ওই ভবনের সামনের রাস্তা থেকে ভুলুকে উদ্ধারের পর প্রথমে নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেদিন বিকেল ৪টার দিকে তাকে ঢামেক হাসপাতালে আনা হয়।
ভুলু গাইবান্ধা সদর উপজেলা বলদীয়া গ্রামের মো. বদিয়ার মেয়ে। তার স্বামীর নাম নাজমুল। এ দম্পতির দুই শিশুসন্তান গ্রামের বাড়িতে থাকলেও তারা দুয়ারীপাড়া এলাকার একটি বস্তিতে থাকেন।
ভুলুর চাচাতো বোন সেলিনা বাংলানিউজকে জানান, ওই ভবনের পঞ্চম তলার একটি বাসায় তিন মাস ধরে গৃহকর্মীর কাজ করে আসছিল ভুলু। প্রতিদিনের মতো শনিবার ভোর ৬টার দিকে সেই বাসায় কাজের জন্য গেলে দারোয়ান গেট খুলে দেন। এর ঘণ্টাখানেক পর বাড়ির সামনে রাস্তায় থাকা বালুর ওপর তাকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। তখন তাকে উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে এবং পরে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেলিনা বলেন, আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি, যে বাসায় ভুলু কাজ করে সেই বাসায় পুরুষ মানুষ একজনই ছিলেন, বাকিরা সবাই বেড়াতে গিয়েছিলেন। এখন দারোয়ান বলছেন, ভুলু উপর থেকে পড়ে গিয়েছেন। আমরা জানতে পেরেছি তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।
ঢামেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. অসিত চন্দ্র সরকার বাংলানিউজকে বলেন, মেয়েটির অবস্থা ভেরি ক্রিটিক্যাল (খুবই গুরুতর)। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ফ্র্যাকচার (ভাঙন) দেখা গেছে। এখনো কোনো কিছু বলা যাচ্ছে না। একটু সুস্থ হলে আমরা অর্থোপেডিক্স (হাড়, পেশীসহ কঙ্কালতন্ত্রের অস্ত্রোপচারের জন্য) কল করবো।
বিকেলে রূপনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে জানান, আজ বিকেল ৪টার দিকে ওই মেয়েটির পরিবার থেকে থানায় একটি অভিযোগনামা দেওয়া হয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এখন মাঠে কাজ করছে। তার স্বজনরা অভিযোগ করেছেন, তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। বিস্তারিত আপনাদের পরে জানাতে পারবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৯
এজেডএস/এইচএ/