রোববার (২০ অক্টোবর) রাত ৮টা থেকে প্রায় সাড়ে ১০টা পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে শিক্ষক-নেতৃবৃন্দের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে শিক্ষা মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান নীতিমালা অনুযায়ী এ বছরের এমপিও চুড়ান্ত করা হয়েছে।
তবে আলোচনা ফলপ্রসূ না হলে নন-এমপিও শিক্ষকরা সোমবার (২১ অক্টোবর) থেকে অনশন কর্মসূচিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান নীতিমালা অনুযায়ী এ বছরে নতুন কোনো প্রতিষ্ঠানের অন্তর্ভুক্তির সুযোগ নাই। এর ব্যত্যয় করা হলে আদালতে মামলা হবে। ফলে যোগ্য বিবেচিত হওয়া সকল এমপিও বন্ধ হয়ে যাবে। ’
সুনির্দিষ্ট মানদণ্ডের ভিত্তিতেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিও দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
অ্যাকাডেমিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে তাহলে এমপিও পাবে না কেনো জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘স্বীকৃতি তো ভিন্ন জিনিস, অলমোস্ট একটা ট্রেড লাইন্সের মতো। যেমন একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান একটা ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা করেন। ’
তিনি আরও বলেন, ‘বিদ্যমান এমপিও নীতিমালা সংশোধন করে পরিবর্তিত নীতিমালা অনুযায়ী এখন থেকে প্রতিবছর এমপিও দেওয়া হবে। ’
এমপিও প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানসমুহের মান নিয়মিত মনিটর করা হবে এবং যারা নীতিমালা অনুযায়ী ফলাফল করবে না তাদের এমপিও বাতিল করা হবে।
এমপিও নীতিমালা-২০১৮ স্থগিত করে প্রতিষ্ঠানকে স্বীকৃতি একমাত্র মানদন্ড ধরে শুধু স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য অান্দোলন করে অাসছিলেন শিক্ষকরা।
এ দাবিতে শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিলেন তারা। তবে শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করে শিক্ষক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করেন।
শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর নন-এমপিও শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বাংলানিউজকে বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আন্দোলন ফলপ্রসূ হয়নি। আমরা কাল সোমবার (২১ অক্টোবর) সকাল থেকে আমরণ অনশনে যাব। ’
ডলার আরও বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে মন্ত্রী মুদি দোকানের সঙ্গে তুলনা করেছেন। আর অ্যাকাডেমিক স্বীকৃতিকে তুলনা করেছেন ট্রেড লাইসেন্সের সঙ্গে। এটি দুঃখজনক। ’
বাংলাদেশ সময়: ১২১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৯
এমআইএইচ/ওএফবি