রোববার (২০ অক্টোবর) বিকেলে সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন নরসিংদী গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক জাকারিয়া রতন।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) দিনব্যাপী শহরের ভেলানগর, পাঁচদোনা ও মাধবদী থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই পেশাদার মুক্তিপণ আদায়কারী দলের সদস্য। তাদের একটি মিনিবাস রয়েছে। তারা সবাই মিনিবাসের সাহায্যে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর অংশে যাত্রীদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে।
গত ১৭ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) মাধবদী জজ ভূঁইয়া স্পিনিং মিলের সিনিয়র প্রডাকশন অফিসার হাবিবুর রহমান অফিস শেষে নরসিংদী ফেরার পথে ভেলানগর বাসটি এসে থামলে অপহরণকারীদের পূর্বে থেকে ওতপেতা থাকা কয়েক জন তাকে কৌশলে নামতে বাঁধা দেয়। বাসের সকল যাত্রী নেমে গেলে সঙ্গে সঙ্গে বাসটি পাঁচদোনার দিকে দ্রুত গতিতে যেতে থাকে। এরই মধ্যে অপহরণকারীরা তার চোখ বেঁধে ফেলে ভয়ভীতি দেখায়।
অপহরনকারীদের সুবিধামত জায়গায় নিয়ে ১০ হাজার টাকা ও ১টি ওয়াল্টন মোবাইল হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে তাকে শারীরিক নির্যাতন করে তার স্ত্রীর নিকট ফোন দিয়ে ১লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। তার স্ত্রী কামরুন্নাহার খুশি পুলিশ সুপারকে জানালে পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার গোয়েন্দা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেয়।
গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে পাঁচদোনা থেকে হাবিবুর রহমানকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) হাবিবুর রহমান নরসিংদী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশ শহরের ভেলানগর মোড়ে অভিযান চালিয়ে শাহজালাল ও আবু তাহেরকে গ্রেপ্তার করে। রাতে জাকিরের বাড়ি আসমান্দীরচর থেকে জাকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। সর্বশেষ শনিবার দিনগত রাতে মাধবদী থেকে রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নরসিংদী গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক জাকারিয়া রতন বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা পেশাদার। তাদের নামে নরসিংদীসহ বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, ছিনতাই, অপহরণ, চুরিসহ বিভিন্ন আইনে মামলা আছে। এছাড়াও এজাহার ভুক্ত ২ জন আসামী এখনো পলাতক রয়েছে। তাদেরকে ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশে সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৯
আরকেআর/ওএফবি