বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) জাতীয় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন এ কথা জানান।
তিনি বলেন, সেদিনের দগ্ধ নুসরাতের আর্তনাদ এখনো আমার কানে বাজে।
ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসার ডা. আবুল কালাম বলেন, নুসরাতের শরীরে অনেক বার্ন ছিল। আমরা বোর্ড গঠন করেও তাকে বাঁচাতে পারিনি। আমরা সব চিকিৎসক হিসেবে তাকে বাঁচাতে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) নুসরাতের মৃত্যু হয়। যতটুকু তার আত্মীয়-স্বজন পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি। সে খুব ভালো মেয়ে ছিল। শিক্ষাঙ্গনে একটি মেয়ের গায়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। তাই হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা দেবেন বলে আদালত তিনি আশা করেন।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন পার্থ শংকর পাল বলেন, অবশ্যই নুসরাতের হত্যাকারীদের সঠিক বিচার প্রত্যাশা করি। আদালত যে রায় ঘোষণা করুক সেই রায় যেন দ্রুত কার্যকর হয়।
চলতি বছরের গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলা নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে নুসরাতের শ্লীলতাহানি করেন। এ ঘটনায় তার মা শিরিনা আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী থানায় মামলা করলে অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলা তুলে না নেওয়ায় ৬ এপ্রিল মাদ্রাসার প্রশাসনিক ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের হাত-পা বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় বোরকা পরা পাঁচ দুর্বৃত্ত। ৮৫ শতাংশ বার্ন নিয়ে ১০ এপ্রিল ঢামেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুসরাতের মৃত্যু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৯
এজেডএস/এএটি
আরও পড়ুন...
**আদালতে নুসরাত হত্যা মামলার আসামিরা