সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকালে রাজশাহী মহানগর প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবার এ অভিযোগ করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগীর বাবা আতিকুর রহমান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ৯ অক্টোবর বিকেলে মহানগরের দড়িখরবোনা এলাকা থেকে সন্দেহজনকভাবে তার কলেজপড়ুয়া ছেলে তপু আহম্মেদ তিতাসকে আটক করে নিয়ে যান বোয়ালিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মতিন।
তাকে কেন আটক করা হয়েছে তা জানতে থানায় গেলে এসআই মতিন তার সন্তানকে ছেড়ে দেওয়ার শর্তে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। কিন্তু কোনোভাবেই সেই টাকা জোগাড় করতে না পারায় শেষ পর্যন্ত আর টাকা দেওয়া হয়নি। এরপর তার সন্তানকে ২৭ গ্রাম হেরোইনসহ আটক দেখিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়।
তার ছেলেকে দড়িখরবোনা মোড় থেকে আটক করলেও সাজানো মামলায় শালবাগান এলাকার উত্তরা মোটরস শোরুমের সামনে থেকে আটক দেখানো হয়েছে। অথচ তার সন্তান কোনোভাবেই মাদক ব্যবসায়ী না এবং এই মামলার সঙ্গে তার সন্তানের কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেন তিতাসের বাবা আতিকুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন ‘আমার ছেলে তিতাসকে আটকের ঘটনা এলাকাবাসী দেখেছে। ওইদিন দিনগত রাত ১১টা পর্যন্ত আমরা থানায় অপেক্ষা করে টাকা জোগাড় করার চেষ্টা করছিলাম। আমরা তা দিতে না পারায়, এই হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করেছেন বোয়ালিয়া থানার এসআই মতিন’- যোগ করেন অতিকুর রহমান।
এ বিষয়ে রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, তাদের কাছে কেউ এমন অভিযোগ করেননি। পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৯
এসএস/আরবি/