সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে নিহত কিশোরের মরদেহ ভারতীয় পুলিশ নিজেদের অভ্যন্তরে নিয়ে যায়। এর আগে ভোররাতে বিএসএফ এর গুলিতে সীমান্তের শূন্য রেখায় এ ঘটনা ঘটে।
কুড়িগ্রামের ২২ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) উপ-অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ বাংলানিউজকে বলেন, কিশোরের মরদেহ ভারতীয় পুলিশ নিয়ে গেছে। সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে।
বিজিবি ময়দান বিওপি কমান্ডার সুবেদার মো. রফিক জানান, বাংলাদেশের বাঁশজানি ও ভারতীয় দীঘলটারী সীমান্তে ৯৭৫নং মেইন পিলারের সাব পিলার ৮ ও ৯ এর মাঝখানে জিরো পয়েন্টে কিশোর আখেরুলের মরদেহ পরে ছিল। আর বাংলাদেশের অভ্যন্তরের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে একটি গরুর বাছুর গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা বিজিবি ক্যাস্পে খবর দেয়।
প্রথমে নিহত কিশোর বাংলাদেশি না ভারতীয়- এ নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। পরে ভারতীয় বিএসএফ সদস্যরা মরদেহটি শনাক্ত করে সকাল ১০টার দিকে নিজেদের অভ্যন্তরে নিয়ে যান।
পরে বিজিবির একটি টহল দল ঘটনাস্থলে গিয়ে বিস্তারিত জানতে পারে। বিষয়টি নিয়ে কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে বিএসএফকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার পর থেকে ওই সীমান্ত এলাকায় টহল জোরদার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ভূরুঙ্গমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির বাংলানিউজকে জানান, নিহত আখেরুল শেখ (১৭) ভারতের দীঘলটারী গ্রামের মানিক শেখের ছেলে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৯
এফইএস/এমএ