এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত নারীর স্বামী সাজ্জাদ মিয়াকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মায়া উপজেলার কাদিপুর গ্রামের সাজ্জাদের স্ত্রী ও সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার জয়দা গ্রামের আনা মিয়ার মেয়ে।
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদ মোবারক এ তথ্য নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে। পরে সুরতহাল প্রতিবেদনের পর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
ওসি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ঘটনাটি আত্মহত্যা। তবে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামীকে আটক করা হয়েছে।
পরিবারের লোকজনের বরাত দিয়ে পুলিশ বাংলানিউজকে জানায়, সকাল ১০টার দিকে শ্বশুরালয় থেকে মায়ার বাবার বাড়িতে ফোন করে দ্রুত আসতে বলা হয়। পরে সেখানে গিয়ে মায়াকে ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলান্ত অবস্থায় দেখতে পায় নিহতের বাবা ও স্বজনরা। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের মামা কালাম মিয়ার অভিযোগ, তার ভাগ্নিকে যৌতুকের জন্য শ্বশুরবাড়ির লোকজন হত্যা করে মরদেহ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখেছে। নিহতের পাঁচ বছরের এক কন্যাসন্তান রয়েছে। বর্তমানে মায়া অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৯
এনইউ/এফএম/এএটি