মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দিনগত রাতে নগরের বাগবাড়ি এলাকায় নিজ বাসভবনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। তিনি স্ত্রী, দুই সন্তানসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, ধীরেশ চন্দ্রের দুই সন্তান প্রবাসে থাকেন। তাদের ফেরার অপেক্ষায় মরদেহ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের হিমাগারে রাখা হয়েছে। সন্তানরা দেশে ফেরার পর মরদেহের শেষকৃত্যানুষ্ঠান সম্পন্ন হবে।
অধ্যাপক ধীরেশ চন্দ্র সরকারের মৃত্যুতে সিলেটে শোকের ছায়া নেমেছে।
সিলেট এমসি কলেজের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা প্রিয় শিক্ষককে শেষবারের মতো দেখতে বাসায় গিয়ে ভিড় করেন। প্রিয় শিক্ষকের প্রয়াণে শোকাহত অনেক শিক্ষার্থী। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার কর্মময় জীবনের স্মৃতিচারণ করেন।
সিলেট এমসি কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ নিতাই চন্দ্র চন্দ বাংলানিউজকে বলেন, ব্যক্তি জীবনে অধ্যাপক ধীরেশ চন্দ্র সরকার খুবই সজ্জন মানুষ ছিলেন। ১৯৮১ সালে তিনি এমসি কলেজে গণিত বিভাগের প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর সরকারি কলেজে। পরে সহকারী অধ্যাপক, এরপর এমসি কলেজে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। পরবর্তীতে দিনাজপুর সরকারি কলেজে যোগদান করেন। পদোন্নতি পেয়ে তিনি আবারও এমসিতে যোগ দেন। উপাধ্যক্ষ হিসেবে তিনি সুনামগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ থেকে আবারও এমসি কলেজে যোগদান করেন। এখানে গণিত বিভাগের প্রধান ছিলেন তিনি। অধ্যক্ষ হওয়ার পর ২০১৪ সালের ৫ মে অবসরে যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৯
এনইউ/আরআইএস/