বুধবার (৩০ অক্টোবর) সেগুনবাগিচায় পূর্ত ভবনে বিশ্ব বসতি দিবস ২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ‘বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায় রাজউক অনুমোদিত নকশার বাইরে যারা ভবন নির্মাণ করেছেন আমরা তাদের নোটিশ দিয়েছি।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই দুর্নীতি দমন কমিশন অনেক ভবন মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে। ভবন নির্মাণে দুর্নীতিতে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের জনবলের সংকট থাকায় ধীর ধীরে আমরা কাজ করছি। পর্যায়ক্রমে সবার বিরুদ্ধেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
‘আমরা দুর্নীতিকে সমর্থন করি না। কেউ দুর্নীতি করুক সেটা আমরা চাই না। তবে গণহারে কাউকে দোষারোপ করবেন না। আমরা কাউকে বাঁচানোর পক্ষে না, যিনি দুর্নীতি করবেন তাকে শাস্তি পেতেই হবে। ’
সাংবাদিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, আমাদের ত্রুটির কথা লিখবেন তবে অর্জনগুলো যেন বাদ না পড়ে।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, প্রজাতন্ত্রের প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মনে রাখতে হবে দেশের মালিক জনগণ। তাদের টাকায় আমাদের বেতন দেওয়া হয়। তাই জনগণের কোনো কাজে গাফিলতি সহ্য করা হবে না।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে। শহরের সব সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশকে অত্যাধুনিক ও উন্নত বাংলাদেশে পরিণত করাই সরকারের লক্ষ্য।
নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক ড. খুরশীদ জাবিন হোসেন তৌফিকের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাহাদাত হোসেন, রাজউকের চেয়ারম্যান ড. সুলতান আহমেদ, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. রাশিদুল ইসলাম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৯
এসএমএকে/এবি