বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে ওই আবাসিক এলাকার ১১ নম্বর রোডে এ দুর্ঘটনা ঘটে। রূপনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত পাঁচ শিশু হলো- রমজান (৮), নুপুর (৭), শাহীন (৯), ফারজানা (৬) ও রুবেল (১১)। শিশুদের বয়স ৮-১০ বছরের মধ্যে। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান ডিএমপির মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোস্তাক আহম্মেদ।
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, রূপনগরের বিস্ফোরণের ঘটনায় আমাদের এখানে পাঁচ শিশুর মরদেহ এসেছে। আহতাবস্থায় এসেছে পাঁচজন। এদের মধ্যে দুইজন চিকিৎসাধীন। তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঢামেকে ভর্তি হওয়া আহতরা হলেন- জুয়েল (২৫), সোহেল (২৬), জান্নাত (২৫), বোন তানিয়া (৮), ভাই বায়েজিদ (৫), জামেলা (৭), অজ্ঞাত পরিচয় শিশু (৫- তার অবস্থা আশঙ্কাজনক), মীম (৮), ওজুফা (৯), মোস্তাকিম (৮), মোরসালিনা (৯), নিহাদ (৮), অর্নব ওরফে রাকিব (১০), জনি (১০) ও সিয়াম (১১)।
এদের মধ্যে প্রথম ১৪ জনকে হাসপাতালের জেনারেল বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সিয়াম বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল খান বলেন, বিস্ফোরণের ঘটনায় ঢামেকে ভর্তি হওয়া এক শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। সোহেলের অবস্থাও গুরুতর। তানিয়া-বায়েজিদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম আছে। অন্যদের শরীরেও জখম রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী আনিসুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, রূপনগরের ১১ নম্বর সড়কে বেলুন বিক্রি করার একটি ভ্যানে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে। সিলিন্ডার থেকে বেলুনে গ্যাস ভরা হতো। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই ভ্যানের পাশে থাকা কয়েকজন শিশুর মরদেহ ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে যায়।
ফায়ার সার্ভিস সদরদপ্তরের কর্মকর্তা রাসেল সিকদার বাংলানিউজকে জানান, বিকেলে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট। এরপর মরদেহ ও আহতদের উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৯/আপডেট ১৭৫৯ ঘণ্টা
এজেডএস/পিএম/জেডএস/এইচএ/