বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. শামসুল হক এ রায় দেন। এ সময় আদালত তাকে আরো ৫০ হাজার টাকার জরিমানার আদেশ দেন।
ফাঁসির দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত সিরাজুল হক উপজেলার উত্তর মিরুখালী গ্রামের মৃত জবেদ আলী আকনের ছেলে। এ রায় দেওয়ার সময় তিনি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। আর কুপিয়ে হত্যা করা স্ত্রী নাজমা আক্তার (৩০) উপজেলার বাদুরা গ্রামের আবদুর রব ফরাজীর মেয়ে। এ ঘটনায় রাবেয়া আক্তার মিষ্টি নামে ৬ মাসের শিশু সন্তানকেও কুপিয়ে হত্যা করে তার বাবা।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালের ৯ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে আসামি মো. সিরাজুল হক তার স্ত্রী নাজমা আক্তার (৩০) ও ৬ মাসের শিশু কন্যা রাবেয়া আক্তার মিষ্টিকে কুপিয়ে হত্যা করে ফেলে রেখে যায়। পরের দিন সকালে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর দেড় মাস আগে আসামি সিরাজুল ইসলাম তার স্ত্রী নাজমা বেগমের নামে রাখা ৩ কাঠা জমি বিদেশ যাওয়ার উদ্দেশ্যে বিক্রি করতে চায়। আর এ জন্য তার ভগ্নিপতি উপজেলার উত্তর মিরুখালী গ্রামের আফজাল হোসেনের বাড়িতে যায়। সেখানে বসে ওই জমি বিক্রির ঘটনা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এ ঘটনায় স্ত্রী নাজমা বেগম তার কোলে থাকা ৬ মাসের শিশু কন্যাকে নিয়ে ওই বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি উপজেলার বাদুরা গ্রামে চলে আসতে শুরু করে। ভগ্নিপতির বাড়ির ৫শ গজ দূরে আসে। এসময় স্থানীয় কাদের মিলিটির বাড়ির সামনে পৌঁছলে পেছন থেকে দা হাতে করে আসা স্বামী সিরাজুল ইসলাম স্ত্রী নাজমা ও তার কোলে থাকা ৬ মাসের শিশু কন্যা রাবেয়া আক্তার মিষ্টিকে অতর্কিত কুপিয়ে হত্যা করে সেখানে ফেলে রেখে যায়। পরের দিন তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা আবদুর রব ফরাজী বাদী হয়ে মঠবাড়িয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আসামির অনুপাস্থিতিতে বিচারক এ রায় প্রদান করেন।
বাংলােদশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৯
এসএইচ