বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। অসুস্থাবস্থায় কিশোরীকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওই কিশোরীর স্বজনদের ভাষ্যে, কুরবান আলীর বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করে আসছিল ওই কিশোরী। কয়েক মাস ধরে কুরবানের কুনজর পড়ে কিশোরীটির। প্রায়ই বিভিন্ন প্রলোভনে তাকে কুপ্রস্তাব দিতে থাকে কুরবান। একপর্যায়ে ওই বাড়িতে কাজ বন্ধ করে দেয় সেই কিশোরী। তবু থামে না কুরবানের অত্যাচার।
গত ২৩ অক্টোবর সেই কিশোরী পুকুরে গোসল করতে গেলে কুরবানও গোসলের অজুহাতে নেমে তার স্পর্শকাতর অঙ্গে হাত দেয়। সেই কিশোরী চিৎকার করে সেদিন রক্ষা পেয়ে বাড়ি ছেড়ে ওই গ্রামেই এক ফুফুর বাড়িতে আশ্রয় নেয়।
পরদিন ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় কিশোরীটি ভাইয়ের খাবার কিনতে গ্রামের দোকানে যাওয়ার পথে কুরবান আলী পেছন থেকে গামছা দিয়ে তার মুখ চেপে ধরে পাশের কলাক্ষেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এই ঘটনা অন্য কাউকে বললে বৃদ্ধ বাবা-মাসহ কিশোরীকে হত্যার হুমকি দেয় কুরবান। সেই থেকে চাপা ভয় ও লোকলজ্জায় পরিবার ছাড়া বাইরের কাউকে জানায়নি মেয়েটি।
কিন্তু পরদিনই বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে পরিবার। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। এখন পুলিশের সহযোগিতায় ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে কিশোরীটি।
সে তার পরিবারকে বলে, ‘ইজ্জত (সম্ভ্রম) রক্ষায় আমি দাদার হাত-পা জড়িয়ে ধরেছিলাম। বলেছিলাম তুমি আমাকে শেষ করে দিয়ো না। কিন্তু সে কোনো কথাই শুনলো না। ’
তার মা বাংলানিউজকে বলেন, ‘মেয়ে তিনদিন ধরে কিছুই খাচ্ছে না। ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ছে, হাসপাতালে আনার পরও সে মাথা ঘুরে পড়ে যাচ্ছে। ’
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিফাত খান রাজীব বাংলানিউজকে বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এছাড়া মেয়েটি ২২ ধারায় জবানবন্দিতে ধর্ষণের কথা জানিয়েছে। অভিযুক্তকে আটক করার চেষ্টা চলছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৯
ইউজি/এইচএ/