বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর অস্ট্রেলিয়ান হাই কমিশনের রিক্রিয়েশন সেন্টারে ‘অস্ট্রেলিয়া এ্যাওয়ার্ড সাউথ এ্যান্ড ওয়েস্ট এশিয়া: ফেয়ারওয়েল এ্যান্ড ওয়েলকাম হোম ইভেন্ট’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
'অস্ট্রেলিয়া এ্যাওয়ার্ড' বাংলাদেশের উচ্চ শিক্ষার প্রসার ও নাগরিকদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে বলেও অনুষ্ঠানে উল্লেখ করেন স্পিকার।
অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশে অবস্থিত অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিশন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জুলিয়া নিবলেট।
অনুষ্ঠানে স্পিকার বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া এ্যাওয়ার্ড’ বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তাদের জন্য একটা বিরাট সুযোগ। সাউথ এবং ওয়েস্ট এশিয়ার নাগরিকদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে এই এ্যাওয়ার্ড ভূমিকা রাখছে। তিনি বাংলাদেশের জন্য এই এ্যাওয়ার্ড অব্যাহত রাখায় অস্ট্রেলিয়ার সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, জ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বে বাংলাদেশের প্রশিক্ষণার্থী স্কলারদের আইসিটির সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে হবে। নিজেদের প্রতিভা ও মেধাকে সৃজনশীল কাজে লাগাতে হবে।
এ সময় স্পিকার বিদেশ থেকে অর্জিত জ্ঞান দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাতে স্কলারদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।
স্পিকার আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নসহ শিক্ষা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করছে সরকার। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত এবং উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হবে, যা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ৫০ জন অস্ট্রেলিয়া স্কলারশিপ প্রাপ্ত প্রশিক্ষণার্থী সফলতার সঙ্গে তাদের প্রশিক্ষণ শেষ করে দেশে ফিরেছেন এবং ৫০ জন প্রশিক্ষণ নিতে খুব শিগগিরই অস্ট্রেলিয়া যাবেন। এদের মধ্যে ৫০ শতাংশ নারী প্রতিনিধি রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৯
এসকে/এইচএমএস/আরএ