ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

নালিতাবাড়ীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, সেতুরক্ষা বাঁধে ধস 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৯
নালিতাবাড়ীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, সেতুরক্ষা বাঁধে ধস 

শেরপুর: শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় নাকুগাঁও এলাকায় ভোগাই নদীর উপর সেতু সংলগ্ন এলাকায় অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে ব্লক দেওয়া সেতুরক্ষা বাঁধ ধ্বসে গেছে।

অভিযোগ পেয়ে  বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে  অভিযান করে আটটি অবৈধ ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) ।  

উপজেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকে ভোগাই নদী থেকে এক বছরের জন্য বালু উত্তোলনের ইজারা পায় স্থানীয় আল আমীন ট্রেডার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান।

এর পর থেকেই বালু ব্যবসায়ীরা স্থানীয় ভোগাই নদী থেকে বালু উত্তোলন করে আসছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সরকারি কোনো স্থাপনা সংলগ্ন এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করা যাবে না। সে মোতাবেক উপজেলা প্রশাসন নাকুগাঁও সেতু থেকে ৫০০ মিটার দূরত্বে সীমানা নির্ধারণ করে লাল নিশান টানিয়ে দিয়ে আসেন। কিন্ত সেই নিষিদ্ধ সীমানার মধ্যে প্রায় ২৯টি মেশিন দিয়ে রাতদিন ব্যবসায়ীরা বালু উত্তোলন করে আসছেন।  

সেতু রক্ষার জন্য ব্লক দিয়ে যে বাঁধ দেওয়া হয়েছে, বাঁধের কাছ থেকে বালু উত্তোলন করার ফলে বাঁধের একাংশ ধ্বসে গেছে। হুমকিতে রয়েছে ভোগাই নদীর উপর নির্মিত নাকুগাঁও সেতু। সেতুটিকে সীমান্ত সড়কের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। গত ১৭ অক্টোবর ইউএনও এবং এসিল্যান্ড ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আর্ন্তজাতিক সীমারেখার নিকটবর্তী ২৫টি ও ব্রিজ সংলগ্ন ৫টি শ্যালো মেশিন চালিত ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করেন।  

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ফিরে আসার পরপর ব্রিজ সংলগ্ন নিষিদ্ধ এলাকায় লাল পতাকার ভেতরে ড্রেজার মেশিনগুলো আবারও বালু উত্তোলন করে আসছিল। সে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) লুবনা শারমীন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আটটি ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) লুবনা শারমীন বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিষিদ্ধ সীমানায় বালু উত্তোলনের ফলে ব্রিজের জন্য বাঁধানো নদী তীর ধসে গেছে। গত ১৭ তারিখে আমরা অভিযান চালিয়ে ৩০টি মেশিন ধ্বংস করা হয়েছিল। এরপর ইজারাদারকে নিষেধ করা হয়েছে। আজ আবারও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আটটি মেশিন ধ্বংস করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৪৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৯
আরএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।