তাদের অভিযোগ, শ্রমিকদের কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণ দেওয়া ছাড়াই শেয়ার বিক্রি করেছে কোম্পানিটি। ক্ষতিপূরণ দেওয়া ছাড়া শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে কোম্পানিটি প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত সানোফি বাংলাদেশের অফিসের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
অনশনকারীরা বলেন, কোম্পানির এক হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর দেওয়া ক্ষতিপূরণ ফাইল নিয়ে কোনো ধরনের আলোচনা না করে কোম্পানির প্রাপ্য অর্থ (প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রাচ্যুইটি) অন্য কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়া ও ক্ষতিপূরণ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ অবস্থায় আমরা কর্মবিরতি শুরু করতে বাধ্য হই। আমাদের কর্মবিরতি মানে আমাদের প্রতিদিনের রুটিন ওয়ার্ক, ডক্টর ভিজিট ও ফার্মেসি ভিজিট বন্ধ রেখেছি। তবে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ সরবরাহে কোনো ধরনের বাধা সৃষ্টি করি নাই।
তারা আরও বলেন, আমারা শান্তিপূর্ণ কর্মবিরতি করলেও কোম্পানির বড় কর্মকর্তারা আমাদের হুমকি-ধামকি দিতে থাকে। তবুও আমাদের যৌক্তিক দাবি আদায়ে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছি। এর আগে আমাদের দাবি আদায় করা হবে বলে আমাদের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। ওই সময়ের মধ্যে যৌক্তিক কোনো সিদ্ধান্তে না আসায় আমরা শুধু ঢাকায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ের সামনে আজ (বৃহস্পতিবার) তিন ঘণ্টার প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করলাম। আমাদের দাবি না মানা হলে ভবিষ্যতে আরও কঠোর আন্দোলনে যাওয়া হবে।
এসময় অভিযোগ করে তারা বলেন, বাংলাদেশ থেকে বহুজাতিক কোম্পানি গুটিয়ে নিয়ে শেয়ার হস্তান্তর করার ক্ষেত্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার রেওয়াজ চলে আসছে। যা গত বছর গ্ল্যাক্সো কোম্পানি সঠিকভাবে পালন করেছে।
তারা বলেন, এ বিষয়ে আমাদের দাবি আদায়ে আমরা সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ফরাসি রাষ্ট্রদূত, বিদেশি বিনিয়োগকারী শিল্প বণিক সমিতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সানোফি বাংলাদেশের ৪৫ শতাংশ শেয়ার সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি)।
অনশন কর্মসূচিতে সানোফি বাংলাদেশ কর্মকর্তা কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব কুমার চক্রবর্তীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৯
ইএআর/এসএ