ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

‘প্রতি উপজেলার একটি গ্রাম বেকারমুক্ত হবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৯
‘প্রতি উপজেলার একটি গ্রাম বেকারমুক্ত হবে’ সংবাদ সম্মেলনে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: দেশের প্রতি উপজেলার একটি করে অর্থাৎ মোট ৪৯২টি গ্রামকে বেকারমুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল। তিনি বলেন, এজন্য ‘বেকারমুক্ত গ্রাম সৃজন প্রকল্প’ হাতে নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের প্রতি উপজেলায় একটি করে গ্রাম বেকারমুক্ত করা হবে। ইতোমধ্যে কিছু প্ল্যানিংয়ে পাঠিয়েছি, কিছু ডিপিপির (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা) কাজ চলছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সচিবালয়ে যুব ও ক্রীড়া সম্মেলন কক্ষে যুব দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান। এসময় যুব ও ক্রীড়া সচিব আখতার হোসেন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফারুক আহমেদসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

যুব প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা নতুন কনসেপ্ট নিয়েছি, গ্রামে কোনো বেকার রাখবো না। আত্মকর্মসংস্থান করবো, নাহয় কোথাও চাকরির সুযোগ করে দেবো। এজন্য উপজেলা পর্যায়ে যুব প্রশিক্ষণ-বিনোদনকেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের ৪৯২টি উপজেলায় যুব প্রশিক্ষণ-বিনোদন কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। পাঁচটি জেলায় যুব হোস্টেল নির্মাণ প্রকল্পও হাতে নেওয়া হয়েছে। এটি হলে বেকার যুবকদের আবাসনে সুবিধা হবে।  

বেকারদের তালিকা কীভাবে করা হবে- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে কারও সুপারিশ নয়, আমরা নিজেরাই গ্রাম বেছে নেবো। যে এলাকায় দরিদ্রতার হার বেশি, সেই এলাকা আগে বেছে নেওয়া হবে।  

এ বিষয়ে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফারুক আহমেদ বলেন, বেকারের তালিকা বিষয়ে একটি নির্ধারিত পলিসি থাকবে। পলিসি অনুযায়ী উপজেলা পর্যায়ে একটি কমিটি থাকবে। সেই কমিটি সুপারিশ করবে। প্রত্যেক জেলায় একটি করে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করা হবে। বেকারমুক্ত গ্রাম সৃজন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র একত্রিত করে একটি হলিস্টিক অ্যাপ্রোচ নেওয়া হবে।

জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে এসে বলেছিলেন, একসঙ্গে অনেক লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষমতা বিআরটিএ বা ওই মন্ত্রণালয়ের নেই। আমরা সবাই কিছু কিছু ভাগ করে নিলে সব চালক ড্রাইভিং লাইসেন্সের আওতায় আসবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা ইতোমধ্যে একটি প্রকল্প নিয়েছি। এটি ডিপিপি হয়ে প্ল্যানিংয়ে পাঠিয়েছি। আশা করছি, শিগগিরই এই প্রকল্প অনুমোদন হলে আমাদের যারা গাড়ি চালান, তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে লাইসেন্স দিতে পারবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৯
জিসিজি/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।