বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বেলা ১১টায় বরিশাল নদীবন্দর ভবনের সভাকক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, বিগত কয়েক বছরের হিসেব অনুযায়ী উজান থেকে আসা নদীর পানির সঙ্গে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন মেট্রিকটন পলি আসে।
বিআইডব্লিউটিএ প্রকৌশলী বলেন, এ মুহুর্তে বৃহত্তর বরিশাল বিভাগ বা অঞ্চলে আমাদের সাতটি ড্রেজার মেশিন নিযুক্ত করা হয়েছে। অল্প কিছু দিনের মধ্যে আরও তিনটি ড্রেজিং মেশিন খনন কাজের সঙ্গে যুক্ত করা হবে।
তিনি বলেন, বরিশাল অঞ্চলের নৌপথে এ মৌসুমে আমাদের ৩০ লাখ কিউবিক মিটার পলি/বালু ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে অপসারণের চিন্তাভাবনা রয়েছে। যারমধ্যে শুধু বরিশাল নদীবন্দর এলাকায়ই ১ লাখ কিউবিক মিটার পলি/বালু ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে অপসারণ করা হবে।
সব স্থানে ড্রেজিংয়ের পলি/বালু রাখার জায়গা না থাকার বিষয়টি জানিয়ে তিনি বলেন, সেক্ষেত্রে আমরা নদীতে ড্রেজিং করা বালু/পলি ফেরবো। যদিও বিষয়টি নদীর গভীরতা ও স্রোত ওপর নির্ভর করবে। তবে যদি কেউ বিনামূল্যে এ বালু নিতে চান সেক্ষেত্রে তাকে সেই সহায়তা দেওয়া হবে।
সভায় বিআইডব্লিউটিএ'র বরিশালের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক আজমল হুদা মিঠু সরকার বলেন, যেসব নদীর তীরে আমাদের জায়গা রয়েছে, সেখানে আমরা ড্রেজিংয়ের বালু বা পলি ফেলবো। তবে যেখানে জায়গা নেই সেখানেই নদীতেই ফেলতে হচ্ছে। আর তা নিয়ম মেনেই করা হয়।
সভায় বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজিং বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এসএম শাহনেওয়াজ কবির, নির্বাহী প্রকৌশলী মামুনুর রশীদ, বরিশাল নৌসংরক্ষণ বিভাগের উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলাম, লঞ্চ মালিক সমিতির সুলতান মাহামুদ, কাজী ওয়াহিদুজ্জামানসহ বিভিন্ন লঞ্চের মালিক-চালকরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৯
এমএস/ওএইচ/