মামলায় নিহত সোহানের বন্ধু সোহান ফকিরকে (১৮) প্রধান আসামি করে ৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। আসামিদের বৃহস্পতিবার বিকেলে মাদারীপুর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের কারাগারে প্রেরণ করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নিহত স্কুলছাত্র সোহান শেখ (১৫) রাজৈরের তেলিকান্দি এলাকার হাবিবুর রহমান শেখের ছেলে এবং শহরের ইউনাইটেড সরকারি ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার বিকেলে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে বের হয় সোহান। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিল সে। পরিবারের লোকজন একাধিকবার সোহানের মুঠোফোনে কল দিয়ে না পেলে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।
পরে নিহত সোহানদের বাসা সংলগ্ন এনায়েত হোসেনের মালিকানাধীন তিন তলা একটি ভবনের নিচে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্বজনরা। গুরুতর আহত অবস্থায় সোহনকে মাদারীপুর সদর হাসপাতলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তকে মৃত ঘোষণা করে।
হত্যার ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে মাদারীপুর সদর মডেল থানায় নিহতের বাবা হাবিবুর রহমান শেখ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় নিহত সোহানের বন্ধু সোহান ফকিরকে (১৮) প্রধান আসামি করে ৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
এছাড়াও অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়। আসামিদের বৃহস্পতিবার দুপুরে মাদারীপুর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের কারাগারে প্রেরণ করেন।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সওগাতুল আলম বলেন, সিসিটিভির ফুটেজের সহযোগিতায় আমরা ১৩ জনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করি। এর মধ্যে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে নিহতের বাবা মামলা করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিদের থেকে এই হত্যার কারণ আমরা জানাতে পারিনি। আমরা আসামিদের আদালতে প্রেরণ করেছি। '
মাদারীপুর কোর্ট ইন্সপেক্টর রমেশ চন্দ্র দাস বলেন, স্কুল ছাত্র হত্যা মামলায় বৃহস্পতিবার বিকেলে ৬ জন আসামীকে মাদারীপুর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিজ্ঞ আদালত তাদেরকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। আদালতের আদেশ মতে আমরা আসামীদের কারাগারে প্রেরণ করেছি।
বাংলাদেশ সময়: ০৪০২ ঘন্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৯
এমএএম/এমএমএস