শুক্রবার (০১ নভেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত মোক্তারপাড়া ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প মেলা প্রাঙ্গণ এলাকা থেকে টিভিএস ব্র্যান্ডের অ্যাপাচি আরটিআর মডেলের লাল ও নীল রঙের দুইটি মোটরসাইকেল চুরি হয়।
তিনদিনের ব্যবধানে দু’টি মোটরসাইকেল নিয়ে যায় চোর চক্রের সদস্যরা।
দুইটি মোটরসাইকেলই জনারণ্য থেকে চুরি হয়েছে। প্রতিটি মোটরসাইকেল তালা ভেঙে দু-তিন মিনিটের দক্ষতা বা চুরির পারদর্শিতা দেখিয়ে নিয়ে যায়!
এছাড়াও আগ থেকেই শহরে অহরহ ঘটছে এই চুরির ঘটনা। অতীতেও মোটরসাইকেল চুরির হাত থেকে বাঁচতে পারেননি স্বয়ং পুলিশ কর্মকর্তাও! তবে, দায়িত্বশীলদের ভূমিকা নিয়ে চরম হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী মহলসহ নগরবাসী।
সর্বশেষ চুরি যাওয়া দু’মোটরসাইকেল মালিকের একজন মসজিদ কোয়াটার এলাকার বাসিন্দা জেলা ছাত্রলীগ নেতা ওমর সাইফুল্লাহ ও অপরজন জয়নগরের বাসিন্দা ব্যবসায়ী কামরুল ভূঁইয়া।
এই দুইজনসহ একাধিক ভুক্তভোগী বাংলানিউজকে জানান, মূলত থানা পুলিশের গাফিলতির কারণে সক্রিয় ভূমিকা রেখে নির্ভয়ে মানুষের সর্বনাশ করে দিচ্ছে চোর চক্রের সদস্যরা।
সাইফুল্লাহ ও কামরুল অভিযোগ, মেলাকে ঘিরে চারপাশে নিরাপত্তাকর্মীরা থাকার পরও কীভাবে চুরি হয়?
অপরদিকে ডাকবাংলোর নৈশপ্রহরী কোথায়? যেখানে সরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ তাদের যানবাহন পার্কিং করা হয় সেখানকার নিরাপত্তা কী?
নেত্রকোনার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম খান বাংলানিউজকে বলেন, মঙ্গলবার মোটরসাইকেল চুরি যাওয়ার ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে। শুক্রবারের ঘটনায় জিডি প্রক্রিয়াধীন।
দায়িত্ব নিয়ে পুলিশের কোন গাফিলতি নেই জানিয়ে ওসি তাজুল বলেন, চোরদের আটক করতে অভিযান চলবে। আশা করা যায় দ্রুত জড়িতদের আটক করা সম্ভব হবে।
চা এবং ওষুধ বিক্রেতা কামাল, নিরঞ্জন ও স্বপন বাংলানিউজকে বলেন, প্রকৃত চোর ধরতে গিয়ে সাধারণ নিরীহ মানুষ যেন হয়রানি না হয়। সেক্ষেত্রে পুলিশ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি রাখার জোর দাবি থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৯
এএটি