শুক্রবার (০১ নভেম্বর) দিনগত রাতে চর রসুলপুর গ্রামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। আগুনে গোয়ালঘরের সঙ্গে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে আয়নাল মিয়ার বসতভিটাও।
স্থানীয়রা জানান, রাতে গোয়ালঘর থেকে আগুন খুব দ্রুত বসতবাড়িতে ছড়িয়ে পড়লে গোয়ালে বাঁধা গরুগুলোকে সরানো যায়নি। এতে কিছুক্ষণের মধ্যেই তাপে ঝলসে মারা যায় গরুগুলো।
গরুগুলোকে কেন্দ্র করে আয়নাল মিয়ার জীবিকা নির্বাহ হতো। একইসঙ্গে বসতবাড়ি পুড়ে যাওয়ায় চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন তিনি।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, জীবিকা নির্বাহের একমাত্র অবলম্বন বাকি ১২টি গরুও যেকোনো সময় মারা যেতে পারে। আমার বেঁচে থাকার অবলম্বনটুকুও শেষ হয়ে গেছে।
ঘোগাদহ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ আলম জানান, আয়নাল মিয়ার বাড়িতে আগুন লেগে গরু পুড়ে মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার (ইউএনও) কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাবিবুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে চিকিৎসকরা আহত গরুগুলোকে চিকিৎসা দিয়েছেন। তবে পুড়ে যাওয়া গরুগুলো ঝুঁকিমুক্ত নয়।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াছমিন জানান, চরে গোয়ালঘরে আগুন লেগে গরুর মৃত্যুর ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে ক্ষয়ক্ষতির প্রতিবেদন তৈরি করে পাঠাতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে সে অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৯
এফইএস/কেএসডি/জেডএস