শনিবার (০২ নভেম্বর) সকালে সদর উপজেলার গুংগুরু মধ্যমপাড়া এলাকায় এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে আয়োজিত এ নবান্ন উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।
সকালে দেব-দেবীর উদ্দেশে জুমের নতুন ফসল উৎসর্গের মাধ্যমে শুরু হয় খেয়াংদের নবান্ন উৎসব। এরপর জুমচাষের সরঞ্জামাদি ও জুমের নতুন ফসল প্রদর্শন নতুন ধানের পিঠামেলা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় জুমে উৎপাদিত বিভিন্ন ফল-ফসলাদি অতিথিদের উপহার দেন খেয়াং নেতারা। পরে পরিবেশিত হয় এতিহ্যবাহী খেয়াং নৃত্য।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বদিউল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজওয়ানুল হক, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প পরিচালক আব্দুল আজিজ, সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের পরিচালক মং নু চিংসহ খেয়াং সম্প্রদায়ের নেতারা।
পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মধ্যে সবচেয়ে লঘিষ্ঠ খেয়াং সম্প্রদায়। বান্দরবান জেলায় প্রায় চার হাজার খেয়াং জনসংখ্যা রয়েছে। তাদের প্রধান পেশা জুমচাষ। জুমচাষের মাধ্যমে তারা জীবিকা আহরণ করে। প্রতিবছর মার্চ-এপ্রিল মাসে পাহাড়ে তারা জুমচাষ করে এবং ছয় মাস পরিচর্যার পর অক্টোবর-নভেম্বর মাসে জুমের ফসল সংগ্রহ করে। জুমের নতুন ফসল ঘরে তোলার সময় খেয়াংরা নেচে-গেয়ে নবান্ন উৎসব পালন করে থাকে। এটি খেয়াং সম্প্রদায়ের প্রধান উৎসব। জুমের ফসল সংগ্রহের মাধ্যমে তারা সারা বছরের জীবিকা আহরণ করে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৯
এসআরএস