জানা যায়, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী সাধারণ পাসপোর্ট একজন গ্রাহকের হাতে পৌঁছানোর কথা ২১ কার্যদিবসে। আর বিশেষ প্রয়োজনে ৭ দিনের মধ্যে।
ফেনী জেলার বিভিন্ন উপজেলার পাসপোর্টের আবেদনকারীরা সময়মতো পাচ্ছেন না তাদের পাসপোর্ট। নির্ধারিত সময় তো দূরের কথা, দু’মাস পেরিয়ে যায় পাসপোর্ট হাতে পেতে। অন্য জেলার চেয়ে ফেনীর অবস্থা আরও খারাপ। বারবার যোগাযোগ করা হলেও পাসপোর্টের বিষয়ে সঠিক তারিখও বলতে পারেন না কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে মনোয়ারা বেগম নামে এক পাসপোর্টগ্রহিতা বলেন, ২৯ সেপ্টেম্বর পাসপোর্ট দেওয়ার কথা ছিল। তবে সেই তারিখে দেয়নি। এসএমএসও করেনি। দু’মাস অতিবাহিত হলেও মেলেনি পাসপোর্ট।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ফেনী পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মোক্তার হোসেন বলেন, টেকনিক্যাল এ সমস্যা সমাধান করতে আমরা প্রধান কার্যালয়ে অভিযোগ দিয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা জেনেছি সব সময় প্রিন্টিং মেশিন ঠিকভাবে না চললে পাসপোর্ট আটকে যায়।
প্রতিদিন রাত ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বই প্রিন্ট করা হয়। তারপরও সময়মতো দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। দৈনিক প্রায় ২০ হাজারের বেশি পাসপোর্ট প্রিন্ট হয়। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম।
তিনি আরও জানান, প্রতিদিন তিনটি মেশিন কাজ করলে ২০ হাজারের বেশি পাসপোর্ট তৈরি করা যায়। প্রতিদিন তিনটি মেশিন চলে না। তাই কিছুটা কম প্রোডাকশন হয়। তবে যাদের গুরুত্বপূর্ণভাবে পাসপোর্ট লাগবে তারা এসে বললেই আমরা প্রধান কার্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে জরুরি দেওয়ার চেষ্টা করি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৯
এসএইচডি/এএ