বিজয় দিবসে বাংলাদেশ ও ভারতের মুক্তিযোদ্ধাদের এই বিনিময়মূলক সফর ২০০৫ সালে শুরু হয়েছিল। বাংলাদেশ থেকে ৪০০ জনেরও বেশি মুক্তিযোদ্ধা এবং ১৭৫ জন ভারতীয় প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধা কলকাতা ও ঢাকায় বিজয় দিবস উদযাপনে অংশ নিয়েছেন।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ভারত সরকারের আমন্ত্রণে এই বছর ৩০ জন সস্ত্রীক মুক্তিযোদ্ধা এবং বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ছয় কর্মকর্তার (সস্ত্রীক) একটি প্রতিনিধিদল ১৪-১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত কলকাতায় বিজয় দিবস উদযাপনে অংশ নিচ্ছেন। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য শাজাহান খান।
প্রতিনিধিদলে রয়েছেন- পৌরসভার মেয়র, অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত আইজি, ডিআইজি, এসপি, অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব, অন্যান্য ঊর্ধ্বতন অবসরপ্রাপ্ত আমলা, বিশিষ্ট বেসামরিক ব্যক্তি এবং বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর বর্তমান কর্মকর্তারা। প্রতিনিধিদলটি তাদের সম্মানে আয়োজিত বিভিন্ন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেবে এবং ভারতীয় প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে। তারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক নিবাস জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি এবং অন্যান্য ঐতিহাসিক স্থানও পরিদর্শন করবেন।
একইভাবে, বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে ২৭ জন ভারতীয় মুক্তিযোদ্ধা এবং সশস্ত্র বাহিনীর চার কর্মকর্তার একটি প্রতিনিধিদল (সস্ত্রীক) ১৫ ডিসেম্বর ঢাকা পৌঁছাবে বিজয় দিবস উদযাপনে অংশ নিতে। সফরকালে তারা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। এছাড়াও রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর প্রধান এবং সশস্ত্রবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশের ওয়ার কোর্স ফাউন্ডেশন এবং ভারতীয় হাইকমিশন আয়োজিত আলাদা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তারা মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন। প্রতিনিধিদলটি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবে এবং মুক্তিযুদ্ধের কিছু যুদ্ধক্ষেত্রও পরিদর্শন করবে।
ভারতীয় প্রতিনিধিদলে রয়েছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) রাজেন্দ্র সিং কাদিয়ান, লে. জেনারেল (অব.) সরব জোত সিং সায়গল, লে. জেনারেল (অব.) রবি রায় চাদ, লে. জেনারেল (অব.) অবদেশ প্রকাশ, মেজর জেনারেল রাম চন্দর তিওয়ারি।
ভারতীয় হাইকমিশন জানায়, এই অনুষ্ঠানগুলো কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করা বাংলাদেশি ও ভারতীয় মুক্তিযোদ্ধাদের একত্রিত করে। তাদের অভিজ্ঞতার রোমন্থন করে তারা জীবনে গৌরব, ত্যাগ এবং যে চেতনা নিয়ে দু’দেশের মানুষেরা একে অপরের পাশে দাঁড়িয়েছিল, তা সামনে নিয়ে আসে। তাদের ভ্রাতৃত্ব, সাহসিকতা এবং ত্যাগের উত্তরাধিকার সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং সামনেও তা দুই দেশের সশস্ত্রবাহিনী এবং জনগণকে একসূত্রে আবদ্ধ করে চলবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯
টিআর/এসএ