ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

দেশের মানুষ নানা ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে: আনিসুজ্জামান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৯
দেশের মানুষ নানা ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে: আনিসুজ্জামান

ঢাকা: দেশের মানুষ আজ নানাভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। ফলে তারা মৌলিক বিষয়ে একমত হতে পারছে না। কিন্তু শক্তিশালী রাষ্ট্র গড়তে বিভাজন ভুলে মৌলিক বিষয়ে একমত হয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে বলে অভিমত জানিয়েছেন জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। 

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলা একাডেমি আয়োজিত ‘বিজয়: ইতিবৃত্ত ও মর্মার্থ’ শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আনিসুজ্জামান।  

বাংলা একাডেমির সভাপতি এ অধ্যাপক বলেন, দেশ উন্নত হয়েছে, এর সুফল আমরা পাচ্ছি।

কিন্তু অন্যদিকে বৈষম্যও বেড়েছে। রাজনৈতিক বিবেচনায় দেখলে বোঝা যায়, দেশের মানুষ আজ নানা ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কিন্তু শক্তিশালী রাষ্ট্র গড়তে মানুষে মানুষে বিভাজন ভুলে মৌলিক বিষয়ে একমত হয়ে এ দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।

আনিসুজ্জামান আরও বলেন, ১৯৭১ সালে যেমন মুক্তিযুদ্ধের বিজয় হয়েছে, এবার মানুষের মুক্তির যুদ্ধে আমাদের বিজয় হতে হবে।  

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক ও ইতিহাসবিদ অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী।

প্রধান বক্তা হিসেবে মঞ্চে উঠে বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক ও ইতিহাসবিদ অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জিত হলেও দেশের সর্বাত্মক বিজয় এখনও অধরা। ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়েছিল, তবে ১৯৭১ সালের ১৭ ডিসেম্বর থেকে মুক্তির যুদ্ধ শুরু হয়েছে, যা আজও চলমান। সর্বাত্মক বিজয় পেতে আরও অনেক যুদ্ধ করতে হবে।

'আমরা ১৯৭১ সালে বিদেশি শৃংখল থেকে মুক্ত হলেও এখনও উপনিবেশ রয়ে গেছে। এখনও দেশে মানবিক মূল্যবোধ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হলো না। ৭১’র ১৬ ডিসেম্বর সাময়িক বিজয়ের দিন। সে সময় যুদ্ধের সেক্টর ছিল ১১টি, কিন্তু আজ তা অগণিত। মুক্তিযুদ্ধে শত্রু ছিল চিহ্নিত, কিন্তু এখন ঘরে-বাইরে শত্রু। ’

আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, ১৯৭১ সালে ৮ মাস ২১ দিন যুদ্ধ করে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। কিন্তু বাস্তবে দেশ স্বাধীন নয়, এর পরতে পরতে উপনিবেশ রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর বাকশালের মধ্যে বিপ্লব তৈরি হয়েছিল। বাকশালের মাত্র ২৩২ দিনেই দেশের সব সূচক ঊর্ধ্বমুখী ছিল। আমাদের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ছিলো ৭.৮ শতাংশ।

আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে মনোজ্ঞ এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ০০০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৯
ইএআর/এইচজে 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।