সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) খতিব আব্দুল জাহিদ স্কুল ও কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন পাবনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোখলেসুর রহমান।
ভাড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাইদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পাবনার অতিরিক্তি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদ নেওয়াজ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদিন, ভাড়ারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বেলাল হোসেন প্রমুখ।
মহান বিজয় দিবসের বিজয় আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া ও নতুন প্রজন্মের মধ্যে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠার স্বাদ ও পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য এ আয়োজন করে ভাড়ারা ইউনিয়ন পরিষদ।
আগামী বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জানুয়ারি থেকে মাসব্যাপী নানা কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ উৎসবের আয়োজন বলে জানান সংশ্লিষ্ট আয়োজকরা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন সবাই।
পাবনা সদর উপজেলার সবচাইতে কাছের ভাড়ারা ইউনিয়ন পরিষদ। দুইদিনব্যাপী মহান বিজয় দিবস ও নবান্নের পিঠা উৎসবে প্রায় ৪০ প্রকারের পিঠার পর্ষদ সাজিয়ে বসেছে স্থানীয় গৃহিণীরা। ভাপা, পাকাল, পুলি, পাটিসাপটা, চিতই, দুধপিঠা, নারকেলপুলি, তেলভাজা, রসফুল, কলাপিঠা, নকসি পিঠা, ক্ষীরপুলি, সন্দেশ পিঠা, হারি পিঠা, মালাই পিঠা এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
স্থানীয় বিভিন্ন গ্রামের গৃহবধূ ও তরুণীরা এ পিঠা তৈরি করে মেলা প্রাঙ্গণে নিয়ে আসেন। পিঠা উৎসব প্রাঙ্গণে প্রায় ২০টি স্টল পিঠা ও বিভিন্ন জিনিসের পসরা নিয়ে মেলায় অংশগ্রহণ করেছে। এ পিঠার স্বাদ ও তৈরির গুনাগুণ দেখে তিনজনকে বিজয়ী করেন বিচারক মণ্ডলী।
একদিকে চলে পিঠার আয়োজন অপরদিকে বিজয়ের আনন্দে বিজয় মঞ্চে চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে সংগীত পরিবেশন করেন দেশের খ্যাতনাম বাউল শিল্পী বাউল কন্যা নামে পরিচিত ক্লোজআপ তারকা সালমা।
অনুষ্ঠানে কুষ্টিয়া থেকে আসা লালন একাডেমির লালল শিল্পী ও স্থানীয় শিল্পীরাও সংগীত পরিবেশন করেন।
সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়ে শেষ হবে রাত ১০টার দিকে। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) শেষ হবে এ উৎসব।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৯
আরএ