সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) ৪৯তম বিজয় দিবসে বঙ্গভবনে আয়োজিত এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।
অতিথিদের মধ্যে ছিলেন মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, রাজনীতিক, বিচারক, সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, বিদেশি কূটনীতিক, ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক, চিকিৎসকসহ বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিরা।
মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া ভারত ও রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন বিজয়ে এ উৎসবে।
বিকেলে পৌনে ৪টার দিকে বঙ্গভবন মাঠে আসেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও তার স্ত্রী রাশিদা খানম। এর কিছুক্ষণ আগে অনুষ্ঠান স্থলে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাষ্ট্রপতি ও তার স্ত্রীকে রাশিদা খানম মঞ্চে আসার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় জাতীয় সঙ্গীত।
এরপর বিজয় উৎসবে বঙ্গভবন মাঠ থেকে কয়েকশ লাল-সবুজ বেলুন ওড়ানো হয়। পরে বিজয় দিবস উপলক্ষে কেক কাটেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।
বঙ্গভবনে বিজয় উৎসবের এ আয়োজনে বাড়তি বৈচিত্র্য এনে দেয় লাল-সবুজ পাতা দিয়ে তৈরি একটি পতাকা।
বরেণ্য শিল্পীদের দেশাত্মবোধক ও লোকগান, শিশুশিল্পী আর সশস্ত্র বাহিনীর বাদক দলের পরিবেশনা বিজয়ের উৎসবকে আরো আনন্দঘন করে তোলে।
যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবারের সদস্যসহ আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত প্রমুখ।
কূটনৈতিক কোরের ডিন ভ্যাটিক্যানের রাষ্ট্রদূত জর্জ কোচেরি, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার, ভারতীয় হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাস, যুক্তরাজ্যের হাই কমিশনার রবার্ট ডিকসন, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পোসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা বিজয় উদযাপনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
শিল্পী শাহীন সামাদ, তিমির নন্দী, ফাহমিদা নবী, বশিরুজ্জামান সাব্বির, অনুপমা মুক্তি ও আবু বকর সিদ্দিক ছাড়াও শিশু একাডেমির শিশু শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৯
এমইউএম/এনটি