মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্যের ঢাকা হাইকমিশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ইউকে ভিসা আবেদনের জন্যে এর আগে শুধু নগদ অর্থ বা ক্যাশ জমা দেওয়ার সুযোগ ছিল।
গত বছর (২০১৮ সাল) ২৫ হাজার বাংলাদেশি প্রায় সব ক্যাটাগরিতে ইউকে ভিসা পেয়েছে। ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে বাংলাদেশিদের ইউকে ভিসা পাওয়া বেড়েছে শতকরা ২৬ ভাগ। এছাড়াও প্রায় শতকরা ৮৫ ভাগ বাংলাদেশি আবেদনকারী ১৫ কর্মদিবস বা তার চেয়ে কম সময়ে ইউকে ভিসা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত জানতে পেরেছে।
যুক্তরাজ্যে ভ্রমণের ও শিক্ষার উদ্দেশ্যে ক্রমবর্ধমান বাংলাদেশি ইউকে ভিসা আবেদনকারীদের আরও আত্মবিশ্বাস ও উৎসাহ জোগাতেই ভিসা আবেদনে কার্ড ও অনলাইন পেমেন্ট সুবিধা সংযোজন করা হয়েছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন বলেন, ইউকে ভিসা প্রক্রিয়া বাংলাদেশের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেই বিষয়ে যুক্তরাজ্য সরকার অবগত। এ কারণেই আমরা ইউকে ভিসা প্রক্রিয়াকে যতটা সম্ভব দক্ষ ও উন্নত করে তুলছি।
‘এই ঘোষণাটি সেই লক্ষ্য অর্জনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। আমাদের ভিসা সার্ভিসে আধুনিক ডিজিটাল পেমেন্ট প্রক্রিয়া সংযোজন অর্থ আদান-প্রদানকে আরও নিরাপদ ও সুরক্ষিত করে গ্রাহকদের স্বস্তি দিবে। ’
এই নতুন সুবিধাটি পরীক্ষামূলকভাবে ছয় মাসের জন্য চালু করছে ইউকেভিআই’র বাণিজ্যিক পার্টনার ভিএফএস। এই সময়ে ভিসা আবেদনকারীরা চাইলে নগদ অর্থ বা ক্যাশ টাকার মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারবে। কার্ড ও অনলাইন পেমেন্ট সুবিধার সংযোজন সম্পর্কে পরিকল্পনার বিস্তার ঘটাতে যুক্তরাজ্য সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে বাংলাদেশিদের মতামত জানতে আগ্রহী।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৯
টিআর/এসএ