মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে বগুড়া পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ মিলনায়তনে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ সময় মুক্তিযোদ্ধাদের জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে উত্তরীয় পরিয়ে দেওয়া হয়।
সংবর্ধিত মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ সদস্যরা ১৯৭১ সালে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধকালে পুলিশ বাহিনীতে তারা কনস্টেবল থেকে সহকারী পুলিশ সুপার পদে কর্মরত ছিলেন। পরে তারা অবসর নেন। বর্তমানে তারা বগুড়ায় বসবাস করছেন।
বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আলী আশরাফ ভূঞা'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া-৫ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা ও মুক্তিযোদ্ধা হাবিবর রহমান। এছাড়াও জেলা পুলিশের পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারদের মধ্যে সনাতন চক্রবর্তী, গাজিউর রহমান ও তাপস কুমার পাল, সহকারী পুলিশ সুপারদের মধ্যে সাবিনা ইয়াসমিন, রাজিউর রহমান ও এক এইচ এম এরশাদ এবং বিভিন্ন থানার ভাপরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি) ।
স্মৃতিচারণ পর্বের আলোচনা সভায় উপস্থিত অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য ও শহীদ পরিবারের সন্তানদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সহকারী পুলিশ সুপার (অব.) ইমতেজার রহমান, পুলিশ পরিদর্শক (অব.) মনসুর রহমান, আজিজুল ইসলাম ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান বগুড়া ট্রাফিক পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক সালেকুজ্জামান খান, এস আই (অব.) আবুল আজিজের স্ত্রী রাবেয়া বেগম এবং পুলিশ কনস্টেবল (অব.) আবুল ফজল।
এ সময় বক্তারা বলেন, সব মুক্তিযোদ্ধাদের আলাদা গেজেট প্রয়োজন। এখনও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের যেসব সস্তান বেকার রয়েছে তাদের কর্মসংস্থানে পুলিশ বিভাগের কাছে অনুরোধ করেন। সেই সঙ্গে দেশের কল্যাণে সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করারও আহ্বান জানান বক্তারা।
সভায় সংবর্ধিত মুক্তিযোদ্ধাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বগুড়ার পুলিশ সুপার সর্বাত্মক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন। সেই সঙ্গে বগুড়ায় অবসরপ্রাপ্ত সব পুলিশ সদস্যদের নিয়ে একটি সমাবেশের ঘোষণা দেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৯
কেইউএ/আরআইএস/