মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত ‘ইউনাইটেড কনভেনশন অ্যাগেইনেস্ট করাপশন’ শীর্ষক এক কনফারেন্সে বাংলাদেশের পক্ষে তিনি একথা বলেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বাংলানিউজকে এতথ্য জানিয়েছেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুদক বিভিন্ন দুর্নীতির মামলায় এ পর্যন্ত প্রায় ৫২৪ কোটি ১১ লাখ টাকা বা ৬১.৬৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। দুদকের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের আদেশে এসব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এ বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দুদক ২৫টি ব্যাংক হিসাব, ৬ জন উপকারভোগীর বিভিন্ন বন্ড, সিকিউরিটিস এবং বিমা পলিসি জব্দের মাধ্যমে ২.৯২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের অর্থ জব্দ করেছে। একই সময়ে ৫টি বৈদেশিক ব্যাংক হিসাবের ০.৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারও জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া ১২.৪৪ একর জমি, বিভিন্ন প্রকারের ১০টি বাড়ি, ৪টি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট, দুইটি বাণিজ্যিক স্থাপনা এবং ৬টি বিলাসবহুল গাড়ি জব্দ করা হয়েছে।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতি এখন আর কোনো দেশের একক সমস্যা নয়, এটি বৈশ্বিক সমস্যা। একক কোনো দেশের একক চেষ্টায় দুর্নীতি কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় কমিয়ে আনাও কঠিন।
তিনি বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে বৈশ্বিক ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় জাতিসংঘের দুর্নীতিবিরোধী কনভেনশনের ভূমিকাকে বাংলাদেশ দৃঢ়তার সঙ্গে সমর্থন করছে। জাতিসংঘের দুর্নীতিবিরোধী সনদের নির্দেশনা অনুসারে বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে সম্পদ পুনরুদ্ধারে কিছুটা অগ্রগতি সম্পন্ন করেছে।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ কয়েকটি মানিলন্ডারিং মামলায় সাফল্যের সঙ্গে সিঙ্গাপুর থেকে ২.০৬ মিলিয়ন সিঙ্গাপুর ডলার এবং ০.৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যকে ০.৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পুনরুদ্ধার করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, দুদকের মামলার সাজার হার বৃদ্ধির মাধ্যমে এর কর্মসম্পাদনার ধারাবাহিক মানোন্নয়ন ঘটছে। ২০১১ সালে কমিশনের মামলায় সাজার হার ছিল মাত্র ২০ শতাংশ, যা ২০১৯ সালে ৬৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
সম্মেলনে দুদক চেয়ারম্যানের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত, দুদক পরিচালক নাসিম আনোয়ার, গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী, মনিরুজ্জামান খান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৯
এসএমএকে/জেডএস