আবহাওয়া ও কারিগরি কোনো সমস্যা দেখা না দিলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই স্প্যানটি বসানো সম্ভব হবে। আর স্প্যানটি পিলারের উপর স্থায়ীভাবে বসলে দৃশ্যমান হবে সেতুর ২ হাজার ৮৫০ মিটার অবকাঠামো।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় মুন্সিগঞ্জের মাওয়া কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ধূসর রংয়ের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটিকে বহন করে ৩ হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার 'তিয়ান-ই' ভাসমান ক্রেন।
সকাল সোয়া ১০টার দিকে নির্ধারিত পিলারের সামনে এসে পৌঁছায় স্প্যানটি। সেতুর ২১ ও ২২ নম্বর পিলারের অবস্থান মাওয়া ও জাজিরা এলাকার মধ্যবর্তী স্থানে।
পদ্মাসেতুর প্রকৌশল সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে স্প্যান বহনকারী ক্রেনটি পজিশনিং করে নোঙর করার প্রস্তুতি চলছে। নির্ধারিত দুই পিলারের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থান নিয়ে ইঞ্চি ইঞ্চি মেপে তোলা হবে পিলারের উচ্চতায়। রাখা হবে দুই পিলারের বেয়ারিং এর উপর। এরপর ২২ ও ২৩ নম্বর পিলারের স্প্যানের একটি অংশের সঙ্গে ঝালাই করা হবে। ১৮ তম স্প্যান বসানোর সাত দিনের মাথায় বসানো হচ্ছে ১৯তম স্প্যানটি।
জানা যায়, পদ্মাসেতুতে মোট ৪২টি পিলারের মধ্যে বর্তমানে কাজ সম্পন্ন হয়েছে ৩৫টির। সেতুতে ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে ৪১০টি স্ল্যাব বসানো হয়েছে। ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে ১২৫টি স্ল্যাব বসানো সম্পন্ন হয়েছে। পদ্মাসেতুর মোট ৪১টি স্প্যানের মধ্যে চীন থেকে মাওয়ায় এসেছে ৩৩টি স্প্যান। এর মধ্যে ১৭টি স্প্যান স্থায়ীভাবে বসে গেছে। এই পিলারের সঙ্গেই ২২, ২৩, ২৪ ও ২৫ নম্বর পিলারে বসানো আছে তিনটি স্প্যান।
৬ দশমিক ১৫ দৈর্ঘ্যের দ্বিতল সেতুটি কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড মূল সেতু নির্মাণের কাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৯
আরএ