বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় রাজধানীর মিন্টু রোডর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে অতিরিক্ত পুলিশ কমিমনার (ডিবি) আব্দুল বাতেন এ কথা জানান।
আব্দুল বাতেন জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের একটি টিম ১৭ ডিসেম্বর বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে চীনা নাগরিক হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
ব্যবহৃত একটি ভাঙা মোবাইল, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত গামছা, বালতি, মরদেহ মাটিচাপা দেওয়ার জন্য গর্ত খোঁড়ার কাজে ব্যবহৃত কাঠের টুকরা এবং ১ লাখ ২১ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার দুইজন বলেছেন, বনানীর ২৩ নম্বর রোডের ৮২ নম্বর বাসায় সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে কাজ করত তারা। নিজেদের মধ্যে আলাপের সময় কীভাবে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করা যায় তা নিয়ে সবসময় কথা হতো। হত্যাকাণ্ডের বেশ কয়েকদিন আগে চীনা নাগরিককে হত্যার বিষয়টি তাদের মাথায় আসে। তাকে হত্যা করতে পারলে অনেক টাকা পয়সা পাওয়ার আশা ছিল তাদের। যা দিয়ে জীবনে অনেক কিছু করা যাবে। পরে তারা পরিকল্পনা অনুযায়ী চীনা ওই নাগরিককে হত্যা করে। পরে (১০ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে গাওকে ভবনের পেছনে একজন সিকিউরিটি গার্ডের সহযোগিতায় মাটি গর্ত করে চাপা দেওয়া হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিমনার (ডিবি) আরও জনান, পরেরদিন গাওয়ের ড্রাইভার ও কাজের বুয়া তাকে বাসায় না পেয়ে তার ব্যবহৃত স্যান্ডেলে রক্তের দাগ দেখে খুঁজতে থাকে। এক পর্যায়ে ডাইভার সুলতান ভবনের পেছনে মাটিচাপা অবস্থায় একটি পায়ের গোড়ালি দেখে। পরে খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
চীনা নাগরিক গাও একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি ২৩ নম্বর রোডের ৮২ নম্বর বাসার একটি ফ্ল্যাটে এক বছর ধরে বসবাস করতেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৯
পিএস/এইচএডি/