সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) উপজেলাটির চরপত্তনী ভাংগা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আটক সুজন ওই গ্রামের মৃত সেকান্দার আলীর ছেলে।
জানা গেছে, বিয়ের পর সুজন ব্যবসার কথা বলে সাথীর বাবার বাড়ি থেকে দুই লাখ টাকা যৌতুক নেন। কয়েক বছর পর আবার সুজন বিদেশে যাওয়ার জন্য আরও তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। এ জন্য সাথীকে প্রায়ই শারীরিক নির্যাতন করতেন। একপর্যায়ে নির্যাতনের হাত থেকে রেহাই পেতে তার পরিবার পুনরায় সুজনকে তিন লাখ টাকা দেয়। ওই টাকা দিয়ে ওমান গিয়ে সুজন তার খোঁজখবর রাখা বন্ধ করে দেন।
সম্প্রতি সুজন শূন্য হাতে ওমান থেকে দেশে ফিরেন। পুনরায় সাথীর বাবার বাড়িতে দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। এ ঘটনার জেরে সোমবার দুপুরে সাথীকে নির্যাতন শুরু করেন। একপর্যায়ে সাথীর সব কাপড় পুড়িয়ে ফেলেন। তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। পরে হুমকি ও নির্যাতনের বিষয়টি ৯৯৯ নম্বরে কল করে জানান সাথী।
হিজলা থানার উপ পরিদর্শক (এএসআই) আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি আমাদের জানানোর পর তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে একটি ধারালো দাসহ সুজনকে আটক করি। এ ঘটনায় সোমবার রাতে থানায় মামলা হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে সুজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে সুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৯
টিএ