কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দু’জন হলেন-উপজেলার সাকোহালী গ্রামের সামছুদ্দোহা খান (৪৫) ও লক্ষ্মীপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেন (৪০)।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলায় সরকারি খাদ্য গুদামে এ ঘটনা ঘটে।
ইউএনও মাছুদুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, খাদ্য গুদামে ধান দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে ভটভটি ও ভ্যানে করে ধান এনে চালকেরা সরে যান। এ সময় কিছু ভ্যানের ধান জব্দ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
চলতি মৌসুমে উপজেলার সদর খাদ্য গুদামে প্রায় দুই হাজার মেট্রিক টন ধান কেনা হবে। এজন্য লটারির মাধ্যমে দুই হাজার চারশ কৃষক নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে দুই হাজার দুইশ কৃষকের কাছ থেকে এক টন করে ধান কেনা হবে। দুই হাজার দুইশ কৃষকের মধ্যে ধান সরবরাহ করতে কেউ ব্যর্থ হলে অপেক্ষমাণ তালিকায় রাখা দুই শতাধিক কৃষকের থেকে ধান সরবরাহ করবেন।
ইউএনও মাছুদুর রহমান আরও জানান, কৃষক সেজে ধান বিক্রি করার চেষ্টায় সামছুদ্দোহা খানকে এক মাসে ও ইসমাইল হোসেনকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। প্রকৃত কৃষকরা যেন খাদ্য গুদামে ধান সরবরাহ করতে পারেন, এজন্য অভিযান চালানো হয়েছে। সিন্ডিকেট করে কেউ ধান বিক্রি করতে পারবে না। এ সময় বেশকিছু ভ্যানের ধান জব্দ করা হয়েছে। প্রকৃত কৃষক এলে তা ফেরত দেওয়া হবে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আখেরুর রহমান, কাহালু থানার পরিদর্শক ডেভিড হিমাদ্রী বর্মাসহ কাহালু থানার পুলিশের সদস্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৯
কেইউএ/এএটি