তিনি বলেছেন, জাতির পিতা অসহায় ও ঠিকানাহীন নারীদের বলেছিলেন, প্রয়োজনে তারা ঠিকানার জায়গায় লিখবে ‘ধানমন্ডির ৩২ নম্বর’।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ঢাকার ইস্কাটন রোডে বিজয় দিবস উপলক্ষে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিজয়ের মাস আনন্দের, বিজয়ের মাস স্বজন হারানোর। বাঙালির ওপর দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে চলে আসা অন্যায়, বঞ্চনা, শোষণ ও বৈষম্যের অবসান হয়েছিল ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। যা বাঙালি জাতির জীবনের সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল দিন।
মহান বিজয় দিবস একদিনে আসেনি উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রথম বীজ বপন করা হয়। এরপর জাতির পিতার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এ দেশের আপামর জনসাধারণ ৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬ সালের ছয় দফা, ৬৯ এর গণ-অভ্যুত্থান ও ৭০ এর নির্বাচনের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনের দিকে এগিয়ে যায়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নারীদের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমার মা-বোনেরা পেট ভরে খাবার না পেলে, ভালো কাপড় না পরলে, স্বাধীনতা ব্যর্থ হবে। আজ বাংলাদেশের নারীদের তৈরি কাপড় ও উৎপাদিত চাল বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। বাংলাদেশের নারীরা আজ স্বাবলম্বী।
‘দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু উপলব্ধি করেছিলেন দেশের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী, সেই নারীদের বাদ দিয়ে প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব হবে না। এ জন্য জাতির পিতা স্বাধীনতার পরপরই নারীদের কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। নির্যাতিত নারীদের চিকিৎসার জন্য ভারত, ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশ থেকে চিকিৎসক এনেছিলেন। তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন। জাতির পিতা অসহায় ও ঠিকানহীন নারীদের বলেছিলেন, প্রয়োজনে তারা ঠিকানার জায়গায় লিখবে, ধানমন্ডির ৩২ নম্বর।
১৯৭৫ সালে জাতির পিতা হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে এ দেশের মানুষ স্বাধীনতার প্রকৃত অর্জন ও সুফল থেকে বঞ্চিত হয়েছিল উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণের মাধ্যমে এ দেশের মানুষের কাছে স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়িত করে যাচ্ছেন।
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীসহ বিভিন্ন খাতের উন্নয়নের মাধ্যমে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করছেন। ’
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বদরুন নেসার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন নাহারসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৯
এমআইএইচ/টিএ