বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফতাবুজ্জামানের আদালত তার জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন। এদিন আরও দুইটি পৃথক আদালতে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী তিনজন সাক্ষী জবানবন্দি দিয়েছেন।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ফতুল্লার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অপ্রীতিকর এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকেই হত্যাকারী আব্দুল গণি মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপর গণি মিয়া আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। এদিন প্রত্যক্ষদর্শী সাইদ, তাজামুল ও ইয়াসিন নামে তিনজন সাক্ষী হিসেবে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ঘটনায় দ্রুত আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।
তিনি আরও জানান, ১৭ ডিসেম্বর ( সোমবার) ফতুল্লার কাশিপুর খিলমার্কেট এলাকায় সেলিম মিয়ার ভাড়াবাড়িতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। গণি মিয়া আদালতে জবানবন্দিতে বলেছেন সুরুজ তাকে বিড়ির মধ্যে ভরে কী যেন খাইয়েছেন, এতে তার স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলে। ওই সময় তর্কে জড়িয়ে সুরুজকে তিনি ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করেছেন।
নিহত সুরুজ ও গ্রেফতার গণি মিয়া দুইজনই ময়মনসিংহ জেলার বাসিন্দা। এদের মধ্যে নিহত সুরুজ মিয়া ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানার কোনাবাড়ি গ্রামের কেরামত আলীর ছেলে এবং গ্রেফতার আব্দুল গণি মিয়া ফুলপুর থানার কাইজাকান্দা গ্রামের ইব্রাহীম মিয়ার ছেলে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৯
এএটি