বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর মিরপুরে জয়যাত্রা ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘স্যাটেলাইট টেলিভিশনের অগ্রযাত্রায় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, রাজাকার ও মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা একই তারিখে প্রকাশ করবেন এর কারণ কি, আমার কাছে অনেকে জানতে চেয়েছেন।
নতুন প্রজন্মের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, নতুন প্রজন্ম জানে না। তারা জানলে বুঝতো ১৯৭১ সালে কি ঘটেছিল? তাহলে তারা ওদেরকে (রাজাকারদের) ঘৃণা করতে শিখতো। নতুন প্রজন্ম সঠিক ইতিহাস জানলে তাদের ভেতর দেশের প্রতি প্রবল ভালোবাসা সৃষ্টি হতো।
তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবত দাবি করে আসছি পাঠ্যসূচিতে যে পরিমাণ স্থানে মুক্তিযোদ্ধাদের গৌরবের কথা লেখা থাকবে ঠিক সেই ভাবে হানাদার বাহিনী, জামায়াত ইসলামী, আলবদর, আল শামসদের কথাও লেখা থাকবে। রাজাকারদের ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের কথা লেখা থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিচার কীভাবে হয়। দুই পক্ষের কথা শুনে বিচারক সিদ্ধান্ত নেন। ঠিক সেভাবেই শুধুমাত্র আমাদের (মুক্তিযোদ্ধাদের) কথাই জানবে। তাহলে তো নতুন প্রজন্মদের বিচার সঠিক হবে না, একতরফা হবে। একই সঙ্গে রাজাকার ও মুক্তিযোদ্ধাদের কথা সঠিকভাবে নতুন প্রজন্মের জানতে হবে। তারপর (নতুন প্রজন্ম) তারা সিদ্ধান্ত নেবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে নাকি স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রত্যক্ষ বিরোধীতাকারীদের পক্ষে। তখনই তারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবে এবং তাদের মধ্যে দেশপ্রেম আরও দৃঢ় হবে।
জয়যাত্রা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হেলেনা জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জয়যাত্রা টেলিভিশনের ভাইস চেয়ারম্যান জি এম শাজাহান, সংসদ সদস্য (এমপি) মোস্তাক আহম্মেদ রবি প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৯
এমএমআই/আরআইএস/