বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) এ অর্থদণ্ড দেন পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রকৌশলী কাজী তামজীদ আহমেদ। এসময় একই অপরাধে আরও ১৪ জনকে জরিমানা করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, সচিবালয়ের সামনের রাস্তায় এক উপসচিবের গাড়ি থেকে হর্নের শব্দ আসলে এগিয়ে যান ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে গাড়িটি আটক করে ৫০০ টাকা জরিমানা করেন। এসময় গাড়ির ড্রাইভিং সিটে উপসচিব নিজেই ছিলেন।
যদিও এ কথা অন্যভাবে বলছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের সঙ্গে থাকা পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিভাগের ঢাকা মেট্রো অফিসের সহকারী পরিচালক সাইফুল আশরাব।
তিনি বলেন, হর্ন বাজানোর দায়ে এক উপসচিবের গাড়ি আটক করা হয়েছে ঠিকই। কিন্তু জরিমানা করা হয়েছে গাড়িটির ড্রাইভারকে। এসময় উপসচিব পেছনের সিটে বসা ছিলেন।
এর আগে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) শব্দ দূষণরোধে সচিবালয়ের চারপাশ নীরব এলাকা অর্থাৎ ‘নো হর্ন জোন’ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। তখন তিনি বলেছিলেন, এখন থেকে এলাকাটিতে কোনো গাড়ি হর্ন দিলে আইন অনুযায়ী জেল-জরিমানার আওতায় আসবে।
এই আইন অমান্যকারীকে প্রথমে এক মাসের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে। পরবর্তীকালে ওই অপরাধী একই অপরাধ করলে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।
সচিবালয়ের চারদিক বলতে, জিরো পয়েন্ট, পল্টন মোড়সহ সচিবালয় লিংক রোড হয়ে জিরো পয়েন্ট এলাকা পর্যন্ত।
আরও পড়ুন>> সচিবালয়ের সামনে হর্ন বাজানোয় ১৫ জনকে জরিমানা
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৯
টিএ