বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) ডিএমপি সদর দফতরে বড়দিন ও থার্টিফার্স্ট নাইট উপযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত এক সমন্বয় সভায় এ তথ্য জানানো হয়। ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জানানো হয়, বড়দিনে প্রত্যেকটি চার্চে পোশাকে ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবে। প্রতিটি চার্চে আর্চওয়ে দিয়ে দর্শনার্থীকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। এছাড়া মেটাল ডিটেক্টর ও প্রয়োজনে ম্যানুয়ালি তল্লাশি করা হবে। কোন প্রকার ব্যাগ, ট্রলিব্যাগ ও ব্যাগপ্যাক নিয়ে চার্চে আসা যাবে না।
আগে থেকেই অনুষ্ঠানস্থল ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। নিরাপত্তায় থাকবে ফায়ার টেন্ডার ও অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা। চার্চ এলাকায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থাসহ চার্চ এলাকায় কোনো ভাসমান দোকান বা হকার বসতে দেওয়া হবে না।
এদিকে এবারের থার্টিফার্স্ট উপলক্ষে উন্মক্ত স্থানে বা বাড়ির ছাদে গান-বাজনা করা ও আতশবাজি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। যেকোনো ধরনের ডিজে পার্টি নিষিদ্ধ থাকবে।
থার্টিফার্স্ট নাইটে আইডি কার্ড ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। গাড়ি প্রবেশের ক্ষেত্রে ঢাবির স্টিকার থাকতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে বরাবরের মতোই শাহবাগ ও নীলক্ষেত এলাকা ব্যবহার করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম সবাইকে বড়দিন ও থার্টিফার্স্ট নাইটের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানান। উৎসব নির্বিঘ্ন করতে পুলিশ সদস্যদের নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান তিনি।
সভায় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, ফায়ার সার্ভিস, ডিপিডিসি, ডেসকোসহ সরকারি বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৯
পিএম/ওএইচ/