বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করে রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার।
হঠাৎ করে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় শ্রমজীবী ছিন্নমূল মানুষ ও শিশু খুব কষ্ট পাচ্ছে।
এ পরিস্থিতে জেলার শীতার্ত মানুষের জন্য শীতবস্ত্র বিতরণ জরুরি হয়ে পড়েছে। এলাকার জনপ্রতিনিধিরাও এ কথাই বলছেন।
সরেজমিনে কুড়িগ্রামের সীমান্তবতী ভূরুঙ্গামারী উপজেলার প্রত্যন্ত ধলডাঙ্গার চরাঞ্চলে দেখা যায়, কালজানি নদীর অববাহিকার চরাঞ্চলে ঘন কুয়াশাসহ শীতের তীব্রতায় বিপর্যস্ত জনজীবন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না কেউ। তারপরও থেমে নেই শ্রমজীবী মানুষের কর্ম। তীব্র শীত উপেক্ষা করে গরু আনা-নেওয়াসহ জীবিকা নির্বাহের জন্য ক্ষেতে, খামারে, মাঠে, ঘাটে তারা।
ধলডাঙ্গার কালজানি নদীর ঘাটে থাকা কৃষক আব্দুল গফুর বাংলানিউজকে বলেন, ঠাণ্ডায় কাহিল অবস্থা। বাড়ি থেকে বের হওয়া যায় না। কিন্তু পেটে তো মানে না। তাই কাজে বের হয়েছি।
কালজানি ঘাটের নৌকার মাঝি মাজম মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, ঠাণ্ডার ঠেলায় তো নৌকা চালানো যায় না। হাত পা চলে না। কিন্তু মানুষের কাজে-কামে যাইতে হয়। তাই উপায় নেই। নৌকা চালাতেই হয়। নৌকা না চালালে খাব কী।
শিলখুড়ি ইউনিয়নের সদস্য আব্দুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, শীতবস্ত্রের অভাবে নদী অববাহিকা ও চরাঞ্চলের মানুষ কষ্টে আছে। শীতার্ত মানুষ কম্বল ও শীতবস্ত্রের জন্য আমার কাছে আসছে। সরকারি বরাদ্দ কম থাকায় তাদের খালি হাতেই ফেরাতে হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনের ত্রাণ শাখার তথ্য অনুযায়ী, জেলাটিতে এ পর্যন্ত ৫১ হাজার ৫১৪ পিস কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যা ৯ উপজেলায় বণ্টনও করা হয়েছে।
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ক্রমাগত কমছে তাপমাত্রা। দুই একদিনের মধ্যে তাপমাত্রা হ্রাস পেয়ে শীত আরও বাড়তে পারে। এছাড়া শনিবার (২১ ডিসেম্বর) পর্যন্ত এই শৈত্যপ্রবাহ থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৯
এফইএস/টিএ