বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিজয়নগরে নবনির্মিত শ্রম ভবনের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় শিশুশ্রম কল্যাণ পরিষদের ৮ম সভায় এ তথ্য জানান শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।
সভাপতির বক্তব্যে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইএলও কনভেনশন ও বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী ১৪ থেকে ১৮ বছরের শিশুরা ঝুঁকিপূর্ণ নয় এমন কাজে বাবা-মাকে সহযোগিতা করতে পারবে।
তিনি বলেন, আগামী প্রজন্মের জন্য নিরাপদ, উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে যা যা দরকার সরকার সবকিছুই করবে। ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসনে নেওয়া প্রকল্পের চতুর্থ পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত এক লাখ শিশুকে প্রত্যাহার করা হবে।
মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ২০২১ সালের মধ্যে ৩৮টি ঝুঁকিপূর্ণ খাত ও ২০২৫ সালের মধ্যে সব খাতকেই শিশুশ্রমমুক্ত করতে সরকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
সভায় জানানো হয়, ঝুঁকিপূর্ণ খাত হিসেবে জাহাজভাঙা শিল্প, ট্যানারি ও চামড়াজাত শিল্প, সিল্ক, কাচ ও সিরামিক শিল্পকে শিশুশ্রমমুক্ত করতে আন্তরিকভাবে কাজ করছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর।
মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আলী আজমের সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব মোল্লা জালাল উদ্দিন, ড. রেজাউল হক, সাকিউন নাহার, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শিবনাথ রায়, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ কে এম মিজানুর রহমান, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, বিকেএমইএ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফজলে শামীম এহসান, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের শ্রম উপদেষ্টা কে এস সাইফুদ্দিন, জাতীয় মহিলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সুরাইয়া আক্তার, বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন খান, জাতীয় শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম, আইটিইউসির সাধারণ সম্পাদক কামরুল আনামসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তা ও এনজিও প্রতিনিধিরা।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৯
জিসিজি/একে