বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বাজার ব্যবস্থাপনা এবং নারী কৃষি উদ্যোক্তাদের নিয়ে একশনএইড বাংলাদেশ আয়োজিত ন্যাশনাল কলোকিয়াম অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. শেখ আজিজুর রহমান বলেন, দেশের অগ্রগতিতে নারীদের অবদান অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, পোল্ট্রির পাশাপাশি ডেইরি খাতেও রয়েছে নারী উদ্যোক্তাদের কাজ করার বিশাল সুযোগ। উৎপাদিত পণ্যের বিপণন জোরদার করা জরুরি।
অনুষ্ঠানে ওয়ার্ল্ড ভিশন-এর প্রোগ্রাম পরিচালক টনি এম গোমেজ বলেন, অর্থনৈতিকভাবে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এর পেছনে নারীর ক্ষমতায়ন ও মানসিকতার ইতিবাচক পরিবর্তন। নারীরা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করার মধ্য দিয়ে এই পরিবর্তন আসছে।
এসকেএস ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল আহমেদ লিটন বলেন, গ্রামীণ নারীদের আগ্রহ থাকলেও উপযুক্ত পরিবেশ ও সুযোগের অভাবে তারা মূল বাজারের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন না। দক্ষতা থাকা স্বত্ত্বেও অনেকেই জানেন না কীভাবে সেই দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আয়-উপার্জন করা যায়, অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া যায়।
একশনএইড বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির বলেন, বাংলাদেশের নারীরা অনেক সচেতন এবং অবস্থার উন্নয়নেও তারা অনেক বেশি সচেষ্ট। কিন্তু তাদের জন্য নেই পর্যাপ্ত বাজার ব্যবস্থাপনা। গ্রামীণ কৃষি উদ্যোক্তা, বিশেষ করে নারীরা যেন উপযুক্ত পরিবেশ পায় এবং বাজার ব্যবস্থাপনায় সরাসরি অংশ নিতে পারে সেজন্য সরকারি ও বেসরকারি উভয়কেই সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৯
টিএম/এমএ